কৃষি আইন বাতিল না হলে ভোটমুখী বাংলায় ট্র্যাক্টর নিয়ে যাওয়া হবে: তিকাইত
দিল্লি লাগোয়া সীমানা ছাড়িয়ে এবার ভোটমুখী বাংলায় বিক্ষোভ নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ তিকাইত (Rakesh Tikait)। তিন কৃষি আইন ইস্যুতে দাবি পূরণ না হলে পশ্চিমবঙ্গে ট্র্যাক্টর নিয়ে যাওয়া হবে বলে এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাকেশ।
এই প্রসঙ্গে রাকেশ তিকাইত বলেছেন, ‘শস্যের দাম বাড়েনি। কিন্তু, জ্বালানির দাম বেড়েই চলেছে। কেন্দ্র যদি এই পরিস্থিতি নষ্ট করে, তাহলে আমরা পশ্চিমবঙ্গেও ট্র্যাক্টর নিয়ে যাব।
কেন্দ্রকে বিঁধে রাকেশ আরও বলেছেন, ‘ফসল ফলানোর জন্য কৃষকরা ফিরে যাবেন, এমন ভুল ধারনা যেন না থাকে সরকারের। যদি জোর করা হয়, তাহলে আমরা ফসল জ্বালিয়ে জেব। এমনটা ভাবা ঠিক নয় যে, দু’মাসে বিক্ষোভ শেষ হয়ে যাবে। আমরা ফসলও ফলাবো, বিক্ষোভও দেখাব।’
উল্লেখ্য, বাংলায় দোরগোরায় বিধানসভা নির্বাচন। কৃষি আইন ইস্যুতে একাধিতবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষাপটে কৃষক বিক্ষোভের আঁচ বাংলার মাটিতে ছড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে আদতে কেন্দ্রকেই চাপে রাখার কৌশল নিলেন রাকেশ তিকাইত।
কেন্দ্রের তিন ‘বিতর্কিত’ কৃষি আইনের প্রতিবাদে এদিন দেশজুড়ে রেল রোকো (Rail Roko) কর্মসূচি করেন কৃষকরা। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলে এই কর্মসূচি। কৃষক বিক্ষোভ সামাল দিতে দেশজুড়ে অতিরিক্ত ২০ কোম্পানি আরপিএসএফ বাহিনী মোতায়েন করে রেল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এদিন রেল স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা।
অন্যদিকে, আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার ফলে কৌশলে এ বার বদল আনতে চলেছেন কৃষকরা। নতুন কৌশলে কমিয়ে আনা হচ্ছে গাজিপুর, সিংঘু এবং টিকরির ধরনায় হাজির অন্নদাতাদের সংখ্যা৷ অনেক কৃষককেই জমির ফসল কাটতে ফিরতে হচ্ছে নিজেদের গ্রামে৷ এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের সিদ্ধান্ত, রিলে পদ্ধতিতে চালানো হবে আন্দোলন, যেখানে ধরনাস্থলে হাজির থাকবেন সামান্য কিছু কৃষক, বাকিরা ফিরে যাবেন নিজের নিজের গ্রামে৷ পরিস্থিতি বুঝে কৃষক সংগঠনের আহ্বানে তাঁরা আবার দিল্লির সীমানায় ধরনাস্থলে ফিরে আসবেন।