মন্ত্রী জাকির বিপন্মুক্ত, আইইডি বিস্ফোরণের ইঙ্গিত সিআইডি আধিকারিকদের
ভাল আছেন বিস্ফোরণে আহত রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন (Zakir Hussain)। তাঁর আর কোনও বিপদ নেই বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। যদিও এই মুহূর্তে হাসপাতালেই কিছুদিন থাকতে হবে তাঁকে। অন্যদিকে তাঁকে লক্ষ্য করে যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল তাতে ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি (IED) ব্যবহার করা হয়েছিল বলেই প্রাথমিক ধারণা তদন্তকারী সিআইডি দলের। ইতিমধ্যেই অবশ্য তাঁর নিরাপত্তা বাড়িয়েছে নবান্ন। এবার থেকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পাবেন জাকির।
শুক্রবার সকালে এসএসকেএমের তরফে জানানো হয়েছে, মন্ত্রী জাকির হোসেন-সহ বাকি চিকিৎসাধীনদের নতুন করে অবস্থার অবনতি হয়নি। অবশ্য যে ১৪ জন ভর্তি রয়েছেন তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের নাম নাসিবুল শেখ (২৮), মাসেম আলি (৩০) ও সামিউল শেখ (১২)। বিস্ফোরণের জেরে তিনজনের পা ও একজনের হাত বাদ গিয়েছে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী জাকির হোসেন ছাড়াও তিনজনের অস্ত্রোপচার হয়েছে। বাকিদের মধ্যে কারও অস্ত্রোপচার করতে হবে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, জাকিরের অস্ত্রোপচার সফল হলেও শরীরে বেশ কিছু জায়গায় চামড়া ঝলসে গিয়েছে। সেইসব জায়গায় প্লাস্টিক সার্জারি করা হবে। কবে তা হবে সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে বৃহস্পতিবারের পরে ফের শুক্রবার নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণ স্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন সিআইডির আধিকারিকরা। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সিআইডি (CID) জানিয়েছে, বিস্ফোরণ স্থলে কন্টেনার ও ক্যাপাসিটার পাওয়া গিয়েছে। মোটর বাইকে ব্যবহার করা ব্যাটারির টুকরোও পাওয়া গিয়েছে সেখানে। সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছিল সেখানে। তবে তার মাত্রা কত ছিল তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। অবশ্য এখনও পর্যন্ত তার বা ইলেকট্রিক সার্কিটের কোনও টুকরো পাওয়া যায়নি। তবে তদন্তকারীদের অনুমান, বুধবার রাতে বিস্ফোরণ হওয়ার পরে থেকে এখনও পর্যন্ত সেই লাইনের উপর দিয়ে অনেক ট্রেন গিয়েছে। ফলে কিছু তার বা ইলেক্ট্রিক সার্কিট হাওয়ায় উড়ে যেতে পারে। তাও চারপাশটা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
এদিকে নবান্ন জানিয়েছে, মন্ত্রী জাকির হোসেনকে এবার থেকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তিনি বাড়ি ফিরে গেলেই এই নিরাপত্তা পাবেন। সবসময় তাঁর সঙ্গে থাকবে নিরাপত্তারক্ষীরা।