মোদিকে এক ঝলক দেখতে মাথাপিছু ৩০০ টাকা!
আকাশে দু’বার চক্কর কেটে সবে নেমেছে প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার। ডানলপ(Dunlop) মাঠের অস্থায়ী হেলিপ্যাডে(Helipad) দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী হাত নাড়লেন উপস্থিত জনতার দিকে। তারপরে ধীর পায়ে এগিয়ে গেলেন মঞ্চের দিকে। মাঠমুখী জনতা প্রধানমন্ত্রীকে একঝলক দেখেই এলাকা ছাড়তে শুরু করল। তখন বক্তব্য শুরুই করেননি নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। ডানলপের মাঠে ঢোকার একমাত্র রাস্তায় দু’সারি ভিড়। একদিক দিয়ে লোক ঢুকছে, অন্য সারি ধরে বেরিয়ে যাচ্ছে মানুষ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিড়ের চলন গেল বদলে। তখন শুধুই একমুখী ভিড়। মাঠ ছেড়ে বের হওয়ার। এদিকে, মঙ্গলবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে এক যুবক দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সভায় লোক আনতে মাথাপিছু তিনশো টাকা দিয়েছে বিজেপি!
বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য গোটা বিষয়টিকে অপপ্রচার বলে দাবি করেছে। একদল মাঠ থেকে সোজা রাস্তায় বের হচ্ছে তো, অন্যদল ঘরে ফেরার তাড়ায় বেছে নিচ্ছে রাস্তার পাশের মেঠো পথ। প্রায় আধঘণ্টা ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্য শুরু হওয়ার আগে থেকেই মাঠ ছাড়ার যে প্রবণতা চোখে পড়েছে, তা আরও প্রবল হয়েছে বক্তব্য চলাকালীন। স্থানীয়দের দাবি, যত লোক সভায় গিয়েছিল, তার অর্ধেকই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য না শুনেই মাঠ ছেড়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এদিনের ভিড়ের একটা অংশ বাস্তবে বিজেপির সংগঠিত ভিড় ছিল। কিন্তু বেশিরভাগেরই ছিল প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখার স্পৃহা। সেই জন্য যখন রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে একের পর এক গোলা বর্ষণ করছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তখন দলে দলে মাঠ ছাড়ছিল নিস্পৃহ ভিড়। মেয়েকে নিয়ে মাঠ ছাড়ছিলেন এক মাঝবয়সি মহিলা। বললেন, প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য মেয়ে জেদ ধরেছিল। তাই ওকে নিয়ে মাঠে এসেছিলাম। দেখা হয়ে গিয়েছে, তাই চলে যাচ্ছি। শত অনুরোধেও পরিচয় দিতে চাননি ওই মহিলা। গলায় গেরুয়া উত্তরীয় ঝুলিয়ে বন্ধুর সঙ্গে গল্প করতে করতে মাঠ ছাড়ছিলেন এক যুবক। মোদি তখনও মঞ্চে ওঠেননি। জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, রাজনীতির কথা ভালো লাগে না। প্রধানমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখার ইচ্ছা ছিল, তাই এসেছিলাম।