দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

করোনা মোকাবিলায় আদর্শ বাংলার জঙ্গলমহল

April 6, 2020 | 2 min read

পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম ও ঝাড়গ্রামের আদিবাসী গ্রামগুলি নিজেরাই করোনা ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব এবং একা থাকার উদ্যোগ নিয়েছে। তারা তাদের এলাকায় ঢোকা ও বেরোনোর পথ ইট, বাঁশ ও গাছ দিয়ে আটকে দিয়েছে। তারা প্ল্যাকার্ডও লিখেছে গ্রামে প্রবেশ নিষেধ। এছাড়া পালা করে সীমানা পাহারা দিচ্ছে গ্রামবাসী। জেলা প্রশাসন এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছে।

চিত্র সৌজন্যে:-cloudfront

এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয় কারণ এরকম প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাঁরা যে উদ্যোগ নিয়েছেন, অনেক শহরাঞ্চলে সেই নজির নেই। রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত হল লন্ডন থেকে ফেরা রাজ্যের এক আমলার ছেলে যে বারণ সত্ত্বেও ঘুরে বেড়িয়েছে। ওর মা অফিসও করেছে যেখানে তিনি জানতেন তাঁর ছেলের লন্ডনের কয়েকজন বন্ধু করোনায় আক্রান্ত।

গাছে আইসোলেশন

পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি, বলরামপুর, বড়বাজার, পুঞ্চা, পারা ব্লকের ১১টি গ্রাম, বীরভূমের সিউড়ি ও সাঁইথিয়া ব্লকের পাঁচটি গ্রাম, ঝাড়গ্রামের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।

ওই গ্রামের শ্রমিকরা গ্রামের বাইরে নিজেরা একাকীভাবে আছেন। কেউ গাছে, কেউ ট্রাকে বা, বাসে।

এক গ্রামবাসী যিনি তাঁর আরও ৬ সঙ্গীর সঙ্গে চেন্নাই থেকে ফিরে গাছের ওপর একা আছেন, তাঁর বক্তব্য, ডাক্তার আমাদের বাড়িতে ১৪ দিন একা থাকতে বলেছেন। কিন্তু, আমাদের আলাদা ঘর নেই তাই গ্রামের মানুষদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা গাছে আছি। আমরা সমস্ত নিয়ম মেনেই এখানে আছি। 

চিত্র সৌজন্যেঃ- cloudfront

তিনি আরও বলেন আমাদের এখানে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজ ও জল দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এখানে রান্না করার ও জল ফোটানোর জন্য স্টোভও আছে। আরও কিছু গ্রামবাসী যারা বাইরে থেকে এসেছেন ব্লক আধিকারিকদের তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে বলেছেন।

আধিকারিকরা বলেন, করোনা আটকাতে সারা দেশে নজির গড়ল পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী অঞ্চল। 

গান ও ছড়ার মাধ্যমে সচেতনতা

ছড়া ও গানের মাধ্যমে বীরভূমের কিছু আদিবাসী শিল্পী এই রোগ কিভাবে ছড়ায় সেটা নিয়ে সচেতনতা প্রসার করছেন। 

চিত্র সৌজন্যেঃ- cloudfront

বীরভূমের পুলিশ সুপার বলেন, আমরা আদিবাসী গ্রামে রোজ রেশন দিচ্ছি। গ্রামবাসীরা যে শৃঙ্খলা দেখাচ্ছেন তা না দেখলে বিশ্বাস হবে না। এখানে সকলেই দারিদ্র সীমার নীচের মানুষ। কিন্তু, শহরে যেমন ঠেলাঠেলি হয় রেশন দিতে গেলে এখানে কেউ তা করেনা। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Coronavirus, #model village, #jangalmahal

আরো দেখুন