যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে, স্বীকার করতে বাধ্য হল রেল
স্বল্প দূরত্বের কয়েকটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে(Passenger Train) বৃদ্ধি পেয়েছে যাত্রীভাড়া(Fares)। রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে অবশেষে এ কথা মেনে নিতে বাধ্য হল রেলমন্ত্রক(RailMinIndia)। যদিও বুধবারের বিবৃতিতে রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, যাত্রীভাড়া বৃদ্ধির পরিমাণ ‘সামান্য’। তবে সেই ‘সামান্য’ পরিমাণটি ঠিক কত, তা বারবার প্রশ্ন করা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি রেল। পরিবর্তে রেলমন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটারের কম যাত্রার ক্ষেত্রেই কিছু প্যাসেঞ্জার ট্রেনের যাত্রীভাড়া সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব ক্ষেত্রে টিকিটের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকার কম ছিল। কিন্তু দূরপাল্লার ক্ষেত্রে যাত্রীভাড়ায় কোনও বৃদ্ধি হয়নি।’ একইসঙ্গে রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমানে যত ট্রেন চলছে, তার মধ্যে স্বল্প দূরত্বের প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলছে মাত্র তিন শতাংশ। যাত্রীদের কাছ থেকে ‘সামান্য’ বর্ধিত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে এই তিন শতাংশ ক্ষেত্রেই।
রেলমন্ত্রক যতই বিষয়টিকে হাল্কা করার চেষ্টা করুক, আদতে রেলের এই সরকারি বিবৃতিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। ভাড়ার বর্ধিত পরিমাণ নিয়ে রেল স্পষ্ট করে কিছু না জানানোয় বাড়ছে ধোঁয়াশাও। এমনিতে ট্রেনের যাত্রীভাড়ায় তিন ধরনের কাঠামো রয়েছে। প্যাসেঞ্জার, মেল/এক্সপ্রেস এবং প্রিমিয়াম ট্রেন। শহর ও শহরতলির লোকাল ট্রেনের জন্য আলাদা কোনও ভাড়ার কাঠামো নেই। রেলের এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি আনলক পর্যায়ে যেসব লোকাল ট্রেন চলাচল করতে শুরু করেছে, শর্তসাপেক্ষে ভাড়া বেড়েছে সেগুলিতেও? নির্দিষ্ট করে জানায়নি রেলমন্ত্রক। রেল বোর্ডের তথ্য বলছে, বর্তমানে সারা দেশে ১ হাজার ২৫০টি মেল/এক্সপ্রেস, ৫ হাজার ৩৫০টি সাবার্বান সার্ভিস এবং ৩২৬টিরও বেশি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানো হচ্ছে, যা মোট মেল/এক্সপ্রেস ট্রেনের ৬৫ শতাংশ এবং মোট সাবার্বান সার্ভিসের ৯০ শতাংশ। কেন বাড়ানো হয়েছে ভাড়া? রেলের যুক্তি, সাধারণ মানুষ যাতে অপ্রয়োজনীয় ট্রেন যাত্রা না করেন, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। রেলের এহেন যুক্তির ফলে পাল্টা প্রশ্ন উঠছে, কোনও যাত্রী বিনা কারণে পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে কেন ট্রেনে চড়তে যাবেন?