রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বাম আমলে লোকসানে চলা হরিণঘাটা মিট শপ এবছর ব্যবসা করল ৫০ কোটি টাকা

February 25, 2021 | 2 min read

বাম আমলে ধুঁকতে থাকা রাজ্যের ‘হরিণঘাটা মিট’(Haringhata Meat) ব্র্যান্ডের ব্যবসার পরিমাণ চলতি বছরেই ৫০কোটি টাকা ছাড়াল। প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নিগমের এই মিট শপে ব্যাপক বিক্রির পাশাপাশি অনেক বেকারের কর্মসংস্থানও হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি চালু হওয়া ‘হরিণঘাটা ফিশ’(Hringhata Fish) ব্র্যান্ডেরও জনপ্রিয়তা দিনদিন বাড়ছে।

এ ব্যাপারে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ(Swapan Debnath) বলেন, এখন প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নিগমের ‘হরিণঘাটা মিট’ ব্র্যান্ডের ব্যবসা বাড়ায় কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে আয় হচ্ছে। দপ্তরের হাত ধরে বহু বেকারের কর্মসংস্থান হচ্ছে। ২০১১ সালের পর এই ব্র্যান্ডের আয় বেড়েছে। বাম আমলে এটি ধুঁকছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) চেষ্টায় দপ্তরের বিকাশ ঘটছে।

দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১০-১১ আর্থিক বছরে হরিণঘাটার তৎকালীন করযুক্ত ব্যবসার পরিমাণ ছিল ২৬ লক্ষ টাকা। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে তা বেড়ে হয় ৩৩ কোটি টাকা হয়। আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত ব্যবসার পরিমাণ ৫০কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাছাড়া ২০১০-১১ আর্থিক বছরে নিগমের বিক্রয় কেন্দ্র ছিল মাত্র পাঁচটি। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ৫০১ টি। বুধবার কাটোয়া শহরেও নতুন একটি হরিণঘাটা মিট শপের সূচনা করেন মন্ত্রী। এতে শহরে মাংসের চাহিদা মিটবে বলেই মনে করা হচ্ছে। হরিণঘাটা মিট শপ থেকে মুরগি, খাসি থেকে শুরু করে টার্কি, কোয়েল প্রভৃতি প্যাকেটজাত মাংস সুলভ মূল্যে পাওয়া যাবে।

এছাড়া হরিণঘাটা মিট ব্র্যান্ডের বিভিন্ন প্রকার মাংস ও মাংসজাত দ্রব্য উৎপাদনের জন্য দক্ষিণবঙ্গের হরিণঘাটা ফার্মে এবং উত্তরবঙ্গের ফাঁসিদেওয়াতে দু’টি অত্যাধুনিক মাংস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র রয়েছে। সেখান থেকে উৎপাদন ও বিপণন হয়। পাশাপাশি হরিণঘাটা মিট প্ল্যান্টে প্রতিদিন প্রায় ১৪ মেট্রিক টন ব্রয়লার পাখি প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে প্রায় ১০ মেট্রিক টন মুরগির মাংস উৎপাদন ও বিপণন করা হয়। তাছাড়া এই প্ল্যান্টেই ছাগল ও ভেড়ার মাংস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রও রয়েছে। যার উৎপাদন ক্ষমতা দিনে ২.৫ মেট্রিকটন। উত্তরবঙ্গের ফাঁসিদেওয়া মিট প্ল্যান্টে মুরগির মাংসর উৎপাদন ক্ষমতা এখন বেড়ে প্রায় ১১ মেট্রিক টন হয়েছে। এছাড়া সেখানে শুয়োরের মাংস উৎপাদন ক্ষমতাও প্রায় পাঁচ মেট্রিক টন হয়েছে।

মাংস ছাড়াও ডিম, ঘি, খাঁটি মধু ও সর্ষের তেল উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, প্যাকেজিং এবং বিপণনও হচ্ছে। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ৩৬২ জন খামারিকে কন্ট্র্যাক্ট ব্রয়লার ফার্মিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি খামারিকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের কল্যাণী লয়ার ফার্মে ডিম উৎপাদন ও বিপণনের কাজ শুরু হয়েছে। এখানে গড়ে প্রতিদিন দু’লক্ষ ৫০ হাজার ডিম উৎপাদন হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার জটিয়াখালিতে অত্যাধুনিক ব্রয়লার ব্রিডিং খামারেও উৎপাদন শুরু হয়েছে। এখানে বছরে প্রায় ৫৪ থেকে ৬০ লক্ষ ব্রয়লার বাচ্চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নদীয়া জেলার কল্যাণীতে হাঁস প্রজনন কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সেখানে বছরে পাঁচ লক্ষ হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন করা হবে। ভবিষ্যতে ‘হরিণঘাটা মিট’ ব্র্যান্ডের অধীনে সারা রাজ্যে আরও অনেক বেশি ডিলার নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তাতে স্বনির্ভরতার রাস্তা খুলে যাবে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Haringhata Meat, #haringhata meat shop

আরো দেখুন