কলকাতায় এসেও ব্রিগেডে গেলেন না তেজস্বী, তবে কি ধরবেন মমতার হাত?
কথা ছিল তিনি ব্রিগেডে আসবেন। কথা বলবেন। তরুণদের টানতে তাঁর ওপরই ভরসা করেছিল বাম–কংগ্রেস জোট। তিনি এলেন বটে কলকাতায়। কিন্তু ব্রিগেডে এলেন না। খবর, আজ বিকেলে বা আগামীকালই মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে তেজস্বী যাদব। তাহলে কি এ রাজ্যে তৃণমূলের দাক্ষিণ্যই চাইছে রাজদ! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লালু–পুত্রের তেমনই ইচ্ছা।
বাম–কংগ্রেস আর আব্বাস সিদ্দিকির দলের সঙ্গে জোট একপ্রকার হয়েই গিয়েছিল তেজস্বীর। শোনা গেছিল, কলকাতায় এন্টালি, জোড়াসাঁকোর আসন রাষ্ট্রীয় জনতা দলকে ছেড়ে দেবে বামেরা। আর তেজস্বী নিজে এসে ব্রিগেডে মাইক ধরবেন। কেন্দ্রে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগবেন। রাজ্যের মমতা ব্যানার্জির সরকারকে নিয়ে কী বলেন, তা দেখারও আগ্রহ ছিল সকলের।
কারণ গত বছর বিহার ভোটে রাজদ একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে জয়ী হওয়ার পর মমতাই প্রথম ফোন করে তেজস্বীকে শুভেচ্ছা জানান। তাঁর বাবা লালু প্রসাদের শরীর নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন টুইটারে। এ হেন তেজস্বী মমতার বিরুদ্ধে কী বলেন, দেখতে চাইছিল রাজনৈতিক মহল। এত কিছু মধ্যে বামেদের সঙ্গে গোল বাধে নাকি জামুরিয়ার আসন নিয়ে। তাতেই কাটে সুর। যদিও এই নিয়ে কোনও পক্ষই মুখ খোলেনি।
আর তার মধ্যেই শোনা গেল, তেজস্বী নাকি মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎপ্রার্থী। এমনিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে কারও সঙ্গে জোটে যাওয়ার প্রশ্ন নেই তৃণমূলের। অন্য কোনও দলকে আসন ছাড়তেও নারাজ তারা। তাই তেজস্বীর সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো আদৌ সাক্ষাৎ করবেন কিনা, সেই নিয়ে একটা জল্পনা রয়েই গিয়েছে। সূত্রের খবর, যদি এই সাক্ষাৎ হয়, তার নেপথ্যে থাকবে সিপিআই (এমএল)। তারা বিহার মডেলেই এনডিএ বিরোধী একটি সমন্বয়ী জোট চেয়েছিল। এবার দেখার সেই জোট আদৌ তৈরি হয় কিনা! আর তৈরি হলেও কাদের নিয়ে তৈরি হয়?