পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নামে চাকরির ভুয়ো মেসেজ

স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের এসএমএস পেয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর কীভাবে এমন এসএমএস আসতে পারে? কীভাবেই বা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ হতে পারে?

March 1, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ভুয়ো মেসেজ (Fake Massage) ঘিরে বিতর্ক। বিভিন্ন লোকের মোবাইলে এসেছে চাকরি (JOB) প্রাপ্তির মেসেজ। তাও আবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নাম করে। ভোট ঘোষণার পর কীভাবে চাকরির ইন্টারভিউ কল আসতে পারে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। যদিও নবান্ন (Nabanna) সূত্রে জানানো হয়েছে, এই ধরনের কোনও ইন্টারভিউ নেই।

গত দু’-একদিন এমন এসএমএস (SMS) পেয়েছেন অনেকেই। নির্দিষ্ট একটি এসএমএস সরবরাহকারী সংস্থার তরফ থেকে যেভাবে বাল্ক এসএমএস পাঠানো হয়, ঠিক সেভাবেই এই এসএমএস পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্পষ্টভাবে লেখা, ‘আপনি গ্রুপ-ডি চাকরির পরীক্ষায় নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ১৭ মার্চ নবান্নে বিভিন্ন নথিপত্র নিয়ে ভেরিফিকেশনের জন্য আসবেন।’

স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের এসএমএস পেয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর কীভাবে এমন এসএমএস আসতে পারে? কীভাবেই বা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ হতে পারে? এ নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে বিভিন্ন মহলে। বিভিন্ন সূত্র মারফত বিষয়টি রাজ্য সরকারের শীর্ষকর্তা জানতে পারেন। তাঁরা এ নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন। কে বা কারা এই ধরনের মেসেজ ছড়িয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিভ্রান্তি কাটাতে রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, এমন কোনও মেসেজ সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা হয়নি। সরকারি সূত্রে খবর, এটি ‘ফেক’ মেসেজ। রাজ্য সরকারের বদনাম করতেই কেউ বা কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মেসেজের খবর কানে গিয়েছে পুলিসের (Police)। তারাও খোঁজখবর শুরু করেছে। যে নম্বর থেকে মেসেজ এসেছে, সেটির সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে। কার নামে সেটির রেজিস্ট্রেশন রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে তাদের কোনও চুক্তি হয়েছিল কি না, তাও জানার চেষ্টা চলছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। পুলিস কর্তাদের বক্তব্য, বিভ্রান্তি তৈরি করতে পরিকল্পিতভাবেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কে বা কারা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen