কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়কের ওপর ক্ষুব্ধ এবিভিপি
কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক বিজেপির আশিসকুমার বিশ্বাসের (Ashis Kumar Biswas) উপর ক্ষোভ উগরে দিল দলেরই ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। তাদের দাবি জেলায় একমাত্র বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও জয়ী হওয়ার পর আশিসবাবু দলের কর্মীদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেননি। এমনকী ছাত্র সংগঠনের ছেলেরা আন্দোলন করতে গিয়ে বারবার তৃণমূল (Trinamool) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা অত্যাচারিত হওয়া সত্ত্বেও বিধায়ককে কাছে পাননি তাঁরা। বারবার মিথ্যা মামলায় ছাত্র নেতাদের ফাঁসানো হয়েছে। তবুও বিধায়কের কাছ থেকে কোনওরকম সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। ছাত্র নেতাদের ক্ষোভ নিয়ে এলাকার রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে।
যদিও বিধায়ক বলেন, ছাত্রদের কেন ক্ষোভ রয়েছে বুঝতে পারছি না। তবে প্রশাসন শাসকদলের হাতে থাকায় ছাত্রদের জেল খাটতে হয়েছে এটা ঠিক। আমি ওদের পাশে দাঁড়িয়েছি। ওদের ক্ষোভ দ্রুত মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছি।
বিজেপির (BJP) ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, আম্পানের সময় ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াননি। তাই এবার কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো কোনও নেতাকে চাইছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সঙ্গে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন হয়। সেখানে ৪৫শতাংশ মতুয়া অধ্যুষিত এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৩২হাজার ভোটে জয়লাভ করেন আশিসবাবু। সীমান্তবর্তী এই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথম থেকেই বড় ফ্যাক্টর মতুয়া ভোট। বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুন হওয়ার পরও উপনির্বাচনে তৃণমূল হেরে যায়।
এবিভিপি (ABVP) নেতা বিধান দাস বলেন, উনি আমাদের পাশে দাঁড়াননি। কেস খেয়েছি, কিছুই করেননি। আমাদের পাশে থাকার মতো বিধায়ক চাই। এব্যাপারে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোষচৌধুরী বলেন, অনেক আশা করে মানুষ ওঁকে জিতিয়েছিল। এলাকার বাসিন্দাদের দাবিদাওয়া মেটেনি। দাবি মেটানো তো দূরের কথা, এলাকার মানুষ তাঁকে দেখতেই পাননি। মানুষ ভুল বুঝেছিল। তাঁরা আবার তৃণমূলে ফিরে আসবেন।