দেশ বিভাগে ফিরে যান

ন্যূনতম মাসিক পেনশন নিয়ে টালবাহানা, ইপিএফের ওপর ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা

March 8, 2021 | 2 min read

প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত বাড়ানো হয়নি ইপিএফের(EPF) ন্যূনতম মাসিক পেনশনের(Pension) পরিমাণ। যার জেরে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ইপিএফের প্রায় ৬৫ লক্ষ পেনশন গ্রাহককে। অভিযোগ, নির্দিষ্ট মর্মে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণ এক হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করার ব্যাপারে কোনওরকম পদক্ষেপ করছে না কেন্দ্রীয় সরকার(Central Govt)। পেনশন প্রাপকদের একটি বড় অংশের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের(Nirmala Sitharaman) সঙ্গে কথা বলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার(Santosh Gangwar)। তারপরেও এ ব্যাপারে কোনওরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।


২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অছি পরিষদের বৈঠকে পেনশন সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু তারপর দেড় বছর কেটে গিয়েছে। আরও তিনটি ইপিএফও অছি পরিষদের বৈঠক হয়েছে। অভিযোগ, কোনওটিতেই এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি সরকার। ইপিএফ পেনশন নিয়ে কেন্দ্রের এহেন টালবাহানায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ এবং অসন্তোষের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৪ মার্চ জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে ২২৮ তম অছি পরিষদের বৈঠক করেছে ইপিএফও। সেখানে হাজির ছিলেন অছি পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার। পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ২০২০-২১ আর্থিক বছরের ইপিএফ সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত ওই বৈঠকেই নিয়েছে কেন্দ্র। ইপিএফ পেনশন গ্রাহকদের একটি বড় অংশের আশা ছিল, অন্তত নির্বাচনী পর্বে এবার তাঁদের শিঁকে ছিঁড়লেও ছিঁড়তে পারে। কিন্তু তা হয়নি। ইপিএফও অছি পরিষদের সদস্য তথা এআইইউটিইউসির নেতা দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘এবারের বৈঠকেও মন্ত্রীর কাছে নির্দিষ্ট করে পেনশনের বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি কোনও জবাব দেননি। এই সরকার কর্পোরেটদের জন্য যতটা উদার, তার সিকিভাগ সহানুভূতিও গরিব শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য নেই।’


নিয়ম অনুসারে, দেশের যেসব সংস্থা-প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ২০ জন কর্মচারী রয়েছেন, সেই সংস্থাগুলি ইপিএফওর আওতায় থাকে। ওই কর্মচারীদের মধ্যে যিনি মাসে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পান, তিনি বাধ্যতামূলকভাবে ইপিএফের আওতায় থাকেন। প্রতি মাসে ওই কর্মী তাঁর বেসিক স্যালারি এবং মহার্ঘ ভাতার ১২ শতাংশ অর্থ ইপিএফ খাতে প্রদেয় অর্থ (কন্ট্রিবিউশন) হিসেবে জমা দেন। সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর হয়ে তাঁর সংস্থা-কর্তৃপক্ষ জমা দেয় আরও ১২ শতাংশ কন্ট্রিবিউশন। এর মধ্যে ৩.৬৭ শতাংশ যায় ওই কর্মীর ইপিএফ খাতে, বাকি ৮.৩৩ শতাংশ জমা পড়ে তাঁর ইপিএস বা পেনশন অ্যাকাউন্টে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পেনশনেরই ন্যূনতম মাসিক পরিমাণ এক হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধির ব্যাপারে উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগ উঠছে সরকারের বিরুদ্ধে।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#epf, #EPFO, #Nirmala Sitharaman

আরো দেখুন