ডেঙ্গি দোসর না হয়, প্রস্তুতির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
ডেঙ্গি যাতে করোনার দোসর হয়ে উঠে রাজ্যবাসীর বিপদ আরও না-বাড়ায়, তার জন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত পুরসভা, পঞ্চায়েত-সহ রাজ্যের সর্বত্র ডেঙ্গিদমন কর্মসূচি শুরুর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গিটারও কেয়ার নিন। এর সঙ্গে ডেঙ্গি হলে গোদের উপর বিষফোড়া না হয়ে যায়, সেটা দেখুন।’
এডিস ইজিপ্টাই মশাকে ঠেকিয়ে ডেঙ্গিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ বার বছরের গোড়া থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। সেই মতো সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের মোট সাত জন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে তৈরি হয়েছিল বিস্তারিত রূপরেখাও।
সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ভরা গরমেই ডেঙ্গিদমনের কাজ শুরু করবে সরকার। এডিস ইজিপ্টাইয়ের ‘পেরিনিয়াল ব্রিডিং সোর্স’-এ হানা দিয়ে এপ্রিলের মশার বংশ ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। শুধু তাই নয়, ডেঙ্গি দ্রুত চিহ্নিতকরণের জন্য প্রয়োজনে রেপিড কিটেরও ব্যবহার করা যায় কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল আলোচনা।
ডেঙ্গি ভাইরাসের কোন প্রকার বেশি প্রকোপ হানছে, তা জানার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান নাইসেডের পাশাপাশি এ বছর থেকেই পাঁচ সরকারি হাসপাতাল (এসএসকেএম, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, মুর্শিদাবাদ এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ)-এ ভাইরাস রিসার্চ অ্যান্ড ডায়গনেস্টিক (ভিআরডিএল) ল্যাব তৈরি করেছিল স্বাস্থ্য দপ্তর।
প্রসঙ্গত, করোনার বিপদে এই ল্যাবই ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের কাছে। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে করোনার যে ১৩০১টি নমুনার পরীক্ষা হয়েছে, তার ৪৪৯টি হয়েছে এসএসকেএম, ১৩১টি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ৩৮টি স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং ৭৩টি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের এই ভিআরডিএল ল্যাবেই।