কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

কয়লাঘাট রেল ভবনে বিজেপি নেতাদের ঘিরে ক্ষোভ

March 10, 2021 | 2 min read

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের(Fire) ঘটনার পরের দিনেও দিনভর চর্চায় থাকল স্ট্র্যান্ড রোডে (Strand Road) রেলের নিউ কয়লাঘাট ভবন(New Koylaghat Bhaban)। চলল রাজনীতি, দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা। এসেছিলেন বিজেপি(BJP) এবং সিপিএমের(CPIM) নেতারা। তাঁদের দেখেই অনেককে বলতে শোনা গেল, আজ কেন, কাল রাতে কোথায় ছিলেন? পথচলতি মানুষ থেকে রেলকর্মী, সবার মধ্যেই নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে কানাঘুষো শোনা গিয়েছে। বিজেপি নেতাদের ঘিরে ক্ষোভ ছিল নজরে পড়ার মতো।


মঙ্গলবার ভোর থেকেই রেলের এই অফিসের অগ্নিদগ্ধ তলা পরিষ্কারের কাজে হাত লাগান দমকল কর্মীরা। সেই সঙ্গে চলেছে কুলিংয়ের কাজ। পুরো বিল্ডিংটি ঘিরে রাখা হয়েছে ব্যারিকেড দিয়ে। দুটি গেটেই মোতায়েন পর্যাপ্ত সংখ্যক রেল পুলিস। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই উস্কে দিয়েছে রাজনীতিকে। ওই রাতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। কথা বলেছেন কর্তব্যরত দমকল, পুলিস কর্মীদের সঙ্গে। ভরসা জুগিয়েছেন তাঁদের। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, সঙ্গে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। তখনই অভিযোগ উঠেছিল, রেলের আধিকারিকরা কোথায় গেলেন? দিনভর সেই প্রশ্নও মুখে মুখে ঘুরেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই উস্কে দিয়েছে রাজনীতিকে। বেলার দিকে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন বিজেপি’র রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত এবং দলের এক দাপুটে নেতা। তাঁর সামনেই ক্ষুব্ধ রেল কর্মীদের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী যদি ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে পারেন, তাহলে কেন্দ্রের ক্ষতিপূরণ মাত্র দু’লক্ষ টাকা কেন?

স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েন ওই বিজেপি নেতারা। সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী একাই এসেছিলেন। তাঁর প্রশ্ন, রেলের একটি ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এত গাফিলতি কেন? বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা ও সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় দমকলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আগুন লাগার পর লিফট চালানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুলবাবু। স্বপন দাশগুপ্ত বা রাহুল সিনহারা যখন রাজ্য সরকারকে দুষছেন, তখন রাস্তার ধারে জটলায় চর্চা, মুখ্যমন্ত্রী তো কাল অত রাত অবধি ছিলেন। তখন এই নেতারা কোথায় ছিলেন? এখন এসেছেন টিভিতে মুখ দেখানোর জন্য। প্রশ্নকর্তাদের কয়েকজন খোদ রেলের কর্মী। তাঁরা কাজ করেন ফেয়ারলি প্লেসে। সেখান থেকেই এসেছেন ঘটনাস্থল দেখতে। একই বক্তব্য পথচলতি মানুষের মুখেও। মমতার ভূমিকায় সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রত্যেকে। হাওড়ার বাসিন্দা অম্লান লাহিড়ি বলেন, ‘এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এঁদের তফাত। একজন মুখ্যমন্ত্রী মধ্যরাত পর্যন্ত ঘটনাস্থল সামলালেন। এখন নিউ কয়লাঘাট বিপন্মুক্ত হওয়ার পর এই নেতারা এসেছেন মুখ দেখাতে।’ তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন ব্যাঙ্ককর্মী দেওধর মণ্ডল। তাঁর কথায়, অগ্নিকাণ্ড নিয়েও বিজেপির নেতারা রাজনীতি করছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#koyla ghat, #rail bhaban, #bjp

আরো দেখুন