রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কৃষ্ণনগর উত্তরে কৌশানীর প্রচারে ঝড়

March 11, 2021 | 2 min read

বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের পাত্রবাজারে চায়ে চুমুক দিয়ে প্রচারে ঝড় তুললেন কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Koushani Mukherjee)। পরপর কয়েকটি বাজার, এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের অভাব-অভিযোগও ডায়েরিতে নোট করেন তিনি। একইসঙ্গে সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন তিনি। অভিনেত্রী প্রার্থীকে পাশে পেয়ে ও আশ্বাসে আপ্লুত এলাকার বাসিন্দারা।

এদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ হোটেল থেকে গাড়িতে চেপে সোজা কৃষ্ণনগর শহরের কোর্ট মোড়ে পৌঁছে যান অভিনেত্রী। একে একে জেলা তৃণমূল মুখপাত্র থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতৃত্ব সেখানে পৌঁছন। তারপর অভিনেত্রী সোজা ঢুকে যান পাশের একটি চায়ের দোকানে। অভিনেত্রীর হাতে গরম চা তুলে দেন দোকানদার। চা পর্ব সেরে প্রার্থী বলেন, আমি আজ প্রচারে বের হইনি। আমি আমার পরিবারের আর একটা অংশের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়েছি। বৌদির হাতে চা খেয়ে আমার মনে হচ্ছে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়ার যে বার্তা দিয়েছিলাম তা পূরণ করতে পারব।

এরপরই দলীয় কর্মীদের নিয়ে মাছ ও সব্জি বাজারের দিকে এগিয়ে যান। সকলের কাছে পাশে থাকার আহ্বান জানান। প্রবীণ ও গুরুজনদের থেকে আশীর্বাদ চেয়ে নেন তিনি। বাজার করতে আসা এক বাসিন্দাকে অভিনেত্রী বলেন, চাচা দোয়া করবেন। হাতজোড় করে বাজারে উপস্থিত ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে পারস্পরিক অভ্যর্থনা জানিয়ে এগিয়ে চলেন প্রার্থী। কিছুটা এগিয়ে সব্জি বাজারের বিক্রেতা এক প্রবীণ মহিলার কাছে গিয়ে থমকে যান কৌশানী। কেমন আছেন জানতে চাওয়ায় হাতজোড় করে সব্জি বিক্রেতা ওই মহিলা কেঁদে ফেলেন। প্রার্থীকে তিনি বলতে, মা আমার কেউ নেই আমাকে একটু দেখো। পাল্টা প্রার্থী অভয়বাণী দিয়ে বলেন, মাসি কাঁদবেন না। আমরা আছি তো। আমার মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করুন। যাতে আগামী দিনে আপনাদের পাশে থেকে আপনার সুখ-দুঃখের সঙ্গী হতে পারি। এরপর আরও একটু এগিয়ে যান কৌশানী। সেখানেও মানুষের ঢল নামে। অভিনেত্রী প্রার্থীকে দেখতে ঘরের বধূ, শিশু, যুবতীরা ছুটে আসেন। প্রার্থীর সঙ্গে সেলফি তোলার পর্বও চলে। তারই মাঝে এক ভদ্রমহিলা এগিয়ে এসে বলেন, দিদি আমি মিডডে মিলে কাজ করি। আমাদের বেতনটা একটু বাড়িতে দিতে মমতাদিকে বলবেন। ফের একই কায়দায় প্রার্থী বলেন, নিশ্চয়ই। আপনাদের অভাব-অভিযোগ শুনতেই তো আমি এসেছি। আপনাদের কথাগুলোই আমি দিদিকে গিয়ে বলব।

এভাবেই এদিন প্রচারের প্রথম দিনে কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) শহর এলাকার মানুষের মন জয় করেন কৌশানী। হোটেলে পৌঁছনোর আগে কৃষ্ণনগরের সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে মায়ের দর্শন ও পুজো সারেন অভিনেত্রী। বিকেলে শহরের একটি পার্টি অফিসের উদ্বোধন করে দফায় দফায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সব শেষে কৌশানী বলেন, আমি এখানে দিদির উন্নয়নের কাণ্ডারী হয়ে এসেছি। দিদির হাত শক্ত করতে এই বিধানসভার সমস্ত মানুষের কাছে গিয়ে আমি দিদিকে আবার নবান্নে ফেরাতে বলছি। তাই আমাকে দেখে নয়, দিদিকে ভোট দিন। আমি নিশ্চিত, দিদির ভরসা রাখতে পারব। কারণ, দিদি আমার মাথার উপর আছেন। আমার কোনও ভয় নেই, মানুষের মন জয় করবই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#koushani mukherjee, #Trinamool Congress

আরো দেখুন