জনসংযোগে চায়ের আড্ডায় জলপাইগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী

এদিন সকালে বাবুপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রায় এককিমি প্রাতঃভ্রমণ করে রেসকোর্স পাড়ার একটি চায়ের দোকানে পৌঁছন প্রদীপবাবু। চায়ের ভাঁড়ে ফু দিতে দিতে সেখানে মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন তিনি। এলাকার প্রবীণ চিকিৎসককে দেখে অনেকেই নিজে থেকে এগিয়ে আসেন।

March 11, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

কংগ্রেস-বিজেপিকে পিছনে ফেলে চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে জোর কদমে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) প্রার্থী তথা এলাকার প্রবীণ চিকিৎসক ডাঃ প্রদীপকুমার বর্মা (Dr. Pradip Kumar Barma)। এবার এই কেন্দ্রের তৃণমূল (Trinamool) নেতৃত্বের স্লোগান ‘চলো ডাক্তার, চায়ের দোকানে যাই’। সেই স্লোগানকে সামনে রেখেই বুধবার সকালে শহরের রেসকোর্সপাড়ার চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে জোরদার নির্বাচনী প্রচার করেন প্রার্থী। আচমকা প্রার্থীকে হাতের নাগালে পেয়ে বেজায় খুশি এলাকাবাসীও। অনেকেই আবার প্রার্থীকে জেতার আগাম শুভেচ্ছাও জানান।

এদিন সকালে বাবুপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রায় এককিমি প্রাতঃভ্রমণ করে রেসকোর্স পাড়ার একটি চায়ের দোকানে পৌঁছন প্রদীপবাবু। চায়ের ভাঁড়ে ফু দিতে দিতে সেখানে মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন তিনি। এলাকার প্রবীণ চিকিৎসককে দেখে অনেকেই নিজে থেকে এগিয়ে আসেন। অনেককে আবার প্রার্থী নিজেই কাছে টেনে কথা বলেন। কী কাজ করলে এলাকার মানুষের সুবিধা হবে তা ডাক্তারবাবু জানার চেষ্টা করেন।

এদিন প্রদীপবাবুর সঙ্গে ছিলেন, তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ দলের নেতা-কর্মীরা। প্রার্থী বলেন, এই কেন্দ্রে এখনও বিরোধীরা প্রার্থীই দিতে পারেনি। কারণ কাকে প্রার্থী করা হবে তা হয়তো ওরা ঠিক করতে পারছে না। করোনার সময় থেকে চিকিৎসা পরিষেবা সহ নানারকমভাবে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। রাজ্যের সরকারি প্রকল্পগুলি নিয়েও মানুষের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছি। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে গুরুদায়িত্ব দিয়ে তৃণমূলের প্রার্থী করেছেন। একেবারে নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে বিভিন্ন স্তরে সংগঠনকে মজবুত করে এগিয়ে যাচ্ছি। আমি আশাবাদী, জলপাইগুড়িবাসী (Jalpaiguri) আমাকে জিতিয়ে এই কেন্দ্রে বিধায়ক করবেন। আমি এখানকার সমস্যা, বাসিন্দাদের দাবিদাওয়া বিধানসভায় নিয়ে গিয়ে সুরাহার চেষ্টা করব।

তৃণমূলের দাবি, এই কেন্দ্রে তারা যথেষ্ট শক্তিশালী। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের প্রতিটা ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। প্রার্থী আরও বলেন, একদিকে উন্নয়ন অন্যদিকে সংগঠন, পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তৈরির স্লোগান ও সেই মতকে সামনে রেখে মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen