ভারতে গণতন্ত্র নেই, চলছে নির্বাচিত স্বৈরাচার – বলছে রিপোর্ট
সুইডেন-এর ভ্যারাইটিজ অফ ডেমোক্রাসি ইন্সিটিউট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রে মানের সমীক্ষা প্রকাশ করে। সেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সামাজিক পরিবেশ, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ইত্যাদি বহু গণতন্ত্রের মূল বিষয় খতিয়ে দেখা হয়।
বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে ‘নির্বাচনী স্বৈরাচার’ আখ্যা দেওয়া হল এক সুইডিশ রিপোর্টে। ‘গত দশ বছরে বিশ্বের কোনও দেশে এত বড় একটা পরিবর্তন হয়নি,’ বলছে সমীক্ষা।
সুইডেন-এর ভ্যারাইটিজ অফ ডেমোক্রাসি ইন্সিটিউট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রে মানের সমীক্ষা প্রকাশ করে। সেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সামাজিক পরিবেশ, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ইত্যাদি বহু গণতন্ত্রের মূল বিষয় খতিয়ে দেখা হয়।
রিপোর্ট অনুযায়ী লিবারাল ডেমক্রাসি ইন্ডেক্স-এ ভারতের প্রায় ২৩% অবনতি হয়েছে। গত দশ বছরে বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে আকস্মিক পতনের মধ্যে এটি অন্যতম বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
পতনের কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। গণতন্ত্রের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যে আজ নিষেধাজ্ঞা। মত প্রকাশের স্বাধীনতাও নেই। রিপোর্টে বলা হয়েছে ভারত তার ১৩০ কোটি নাগরিকসহ এখন নির্বাচনী স্বৈরাচারের দেশে পরিণত হয়েছে। ভারতের সঙ্গে এই একই তালিকায় রাখা হয়েছে হাঙ্গেরি ও তুরস্ককে।
২০১৪ সালে ভ্যারাইটিজ অফ ডেমোক্রাসি ইন্সিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন সুইডেনের বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী স্ট্যাফান লিন্ডবার্গ। প্রতি বছর বিশ্বের ২০২টি দেশের ৩ কোটি ডেটা পয়েন্ট-এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশের গণতন্ত্রের মান প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি সপ্তাহেই প্রায় একইরকম একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। মার্কিন সংগঠন ফ্রিডম হাউজের রিপোর্ট-এ ভারতের ‘স্বাধীন’ বৈশিষ্ট্যটি লোপ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে ভারত এখন ‘আংশিক স্বাধীন’ দেশ। তার রেশ কাটার আগেই এই নতুন রিপোর্টে অস্বস্তিতে মোদী সরকার। এটি নিয়ে স্বভাবই সরব হয়েছে মোদী সরকার (Modi Government)।