রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বিজেপিকে বড় ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলে যোগ যশোবন্ত সিনহার

March 13, 2021 | 2 min read

এর আগেও বহুবার তাঁকে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করতে। লোকসভার আগে মমতার হয়ে প্রচারও করেছেন। যোগ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রীর ডাকা ব্রিগেড সমাবেশেও। এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এবার সরাসরি সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল তৃণমূলে (Trinamool) যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা একসময়ের প্রথম সারির বিজেপি নেতা যশোবন্ত সিনহা। আজই তৃণমূল ভবনে এসে রাজ্যের শাসকদলে যোগদান করলেন তিনি। তৃণমূল ভবনে (Trinamool Bhavan) তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন।

পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক থেকে শুরু করে ভারতের অর্থমন্ত্রী হওয়া পর্যন্ত যশোবন্ত সিনহার সফর অবিশ্বাস্য। তিনি ২ বার অর্থমন্ত্রী হয়েছেন, প্রথমে ১৯৯০ থেকে ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের সময়, তারপর ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত বাজপেয়ী সরকারের সময়। এরপর ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

সন্ধ্যেবেলা ইউনিয়ন বাজেট পেশ করার ব্রিটিশ যুগের এই প্রথাকে ভেঙেছিলেন যশোবন্তই। ১৯৯৯ সালে তিনিই প্রথমবার সকালবেলা বাজেট পেশ করেন এবং এখনও সেই নিয়ম চলে আসছে।

যশোবন্ত সিনহা ১৯৬০ সালে আইএস- এ যোগদান করেছিলেন এবং তার চাকরি জীবনের ২৪ টা বছর গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।

একসময়ে বিজেপির দাপুটে নেতা ছিলেন যশোবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)৷ মন্ত্রিসভাতেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷ বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রকের পাশাপাশি সামলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রকও। বর্তমানে বহুদিন ধরেই আর গেরুয়া শিবিরে নেই তিনি৷ ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কার্যত রাজনৈতিক সন্ন্যাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয় যশোবন্তকে। যার জেরে মোদি-শাহ জুটির উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ২০১৯ লোকসভার আগে থেকেই মোদি-শাহ জুটিকে হারাতে রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমেছেন তিনি। উনিশের আগে মমতার হয়ে রাজ্যে ভোটপ্রচার করেছিলেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, “২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই৷’’ এমনকী, উনিশের ভোটের আগে মমতা যে একের বিরুদ্ধে এক ফরমুলায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার অঙ্গিকার করেছিলেন, সেই ফরমুলাকেও সমর্থন করেন যশোবন্ত।

সর্বদা ভারতের মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। সংবিধানের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা এবং দায়বদ্ধতা সব স্তরের মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে।

গত ১১ই মার্চ তিনি তৃণমূলের সপক্ষে টুইট করেছিলেন যে, ‘বাংলার এই লড়াই দেশের
লড়াই। এই নির্বাচনে বাংলার মানুষ ভোট দেবে দেশের ভবিষ্যৎ এর জন্য।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Trinamool Congress, #Yashwant Sinha

আরো দেখুন