প্লাস্টার কেটে দুদিনেই ক্রেপ পরেছেন মমতা? জানুন আসল সত্য
সম্প্রতি নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে আহত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পায়ে ভয়ঙ্কর চোট পান তিনি। প্রায় দুদিন ভর্তি থাকতে হয় কলকাতার এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে। গতকালই ছাড়া পেয়েছেন তিনি। কিন্তু আরও বেশ কিছুদিন হুইল চেয়ারে চেপেই ঘুরতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।
বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও এই নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের শেষ নেই। সিপিএম, কংগ্রেস থেকে বিজেপি এই ঘটনাকে নিতান্তই নাটক বলে প্রমাণ করতে মরিয়া সবাই।
সম্প্রতি বিজেপির জলসম্পদ মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটো ছবি দিয়ে একটি টুইট করেন। একটি ছবিতে হাসপাতালে শায়িত অবস্থায় মমতার পায়ে প্লাস্টার করা। অপরটিতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর হুইল চেয়ারে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন পায়ে ক্রেপ ব্যান্ডেজ বাঁধা। মন্ত্রী টুইটে ব্যঙ্গ করে লেখেন মাত্র ২৪ ঘন্টাতেই পায়ের প্লাস্টার ক্রেপে বদলে গেল!
সত্যতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিকিৎসকরা আরো ৪৮ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে থাকার পরামর্শ দিলেও তিনি শোনেননি। প্রাথমিক প্লাস্টার করার একদিন পরেই হাসপাতালেই প্লাস্টার কেটে চিকিৎসকরা আঘাতপ্রাপ্ত স্থান পর্যবেক্ষণ করেন। তারপরে যে প্লাস্টারটি করা হয় তাঁকে কাস্ট প্লাস্টার বলে। সেই প্লাস্টার তাৎক্ষণিক সময়ের জন্যেই করা হয়ে থাকে। যেটি ছবিতে আছে।
এক্ষেত্রে একদিকে প্লাস্টার করে তা ব্যান্ডেজ দিয়ে পায়ের সাথে বেঁধে রাখা হয়। বাড়ি যাওয়ার সময় মমতাকে প্লাস্টার স্যু পরিয়ে দেওয়া হয়। হুইল চেয়ারে বসা মমতার যে ছবিটিতে ক্রেপ বলে ভুল করছেন বিরোধীরা সেটি আদতে প্লাস্টার স্যু। দুক্ষেত্রেই ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে টুইটে।
প্লাস্টার কেটে দুদিনেই ক্রেপ পরেছেন মমতা, বিরোধীদের করা এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যে।