অন্য মমতার নামে মামলা তৃণমূল নেত্রীর নামে চালাতে গিয়ে মুখ পুড়ল বিজেপির
নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন৷ আর এই নাম বিভ্রাটেই বিভ্রান্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ মুখ পুড়েছে বিজেপিরও৷
এ দিনই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মনোনয়ন পত্রে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলেছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর অভিযোগ ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ছ’টি ফৌজদারি মামলা থাকা সত্ত্বেও মনোনয়ন পত্রে তার উল্লেখ করেননি মুখ্যমন্ত্রী৷ বিজেপি নেতা চাঞ্চল্যকর দাবি করেন, সিবিআই-এর একটি মামলাতেও নাম রয়েছে মমতার৷ শুভেন্দুর এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ বাতিল করার দাবিতে কমিশনে অভিযোগ জানায় বিজেপিও৷
এর পরেই মোড় বদল হয়৷ সিবিআই সূত্রে জানা যায়, বিজেপি-র অভিযোগপত্রে যে মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও সম্পর্কই নেই৷ কারণ ওই মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে যাঁর নাম রয়েছে, তিনি আসলে অন্য একজন৷ সিবিআই সূত্রে খবর, ২০০৮ সালে দুর্গাপুর- আসানসোল এলাকার বাসিন্দা এক কেন্দ্রীয় সরকারি এক কর্মীর বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলার তদন্তে নামে সিবিআই৷ অভিযুক্ত ওই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীর স্ত্রীর নামও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ওই মামলার চার্জশিটে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীর স্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম যু্ক্ত করেছিল সিবিআই৷ কিন্তু তার সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কোনও সম্পর্কই নেই৷ নাম বিভ্রাটে বিভ্রান্ত হয়েই কোনওভাবে ওই মামলার কথা উল্লেখ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ আর তা নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি৷ তবে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাকি যে মামলাগুলির কথা বলেছেন, সেগুলি অসমে দায়ের হয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে৷
এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি-কে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রামে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বুঝতে পেরেই এখন উন্নয়ন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ইস্যু ছেড়ে দিয়ে এই ধরনের অভিযোগ করছেন বিজেপি প্রার্থী৷ আমরা তো প্রথম থেকেই বলছিলাম আগে অভিযোগটা দায়ের করুক, তার পর আসল সত্যিটা জানা যাবে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই-এর মামলা রয়েছে বলে যে প্রচার এতক্ষণ ধরে চলল, তার বিহিত কীভাবে হবে?