বিজেপিকে শূন্য করে দিন: গোপীবল্লভপুরে আবেদন মমতার
একুশের নির্বাচনে প্রচারের ঝড় তুলেছেন মমতা। ভাঙা পায়ে কলকাতায় পদযাত্রা দিয়ে শুরু হয় তাঁর নির্বাচনী কর্মসূচি। এরপর পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় তাঁর জনসভায় দেখা যায় জনপ্লাবন। আজ মমতা ঝাড়গ্রামে। প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনের প্রচারে হাতে গুনে দশ দিনও বাকি নেই। তার আগেই জঙ্গলমহলের কোনায় কোনায় পৌঁছে যাচ্ছেন মমতা। বার্তা একটাই – ভাঙা পায়েই খেলা হবে।
আজ মমতার জনসভা ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর এবং ঝাড়গ্রাম বিধানসভায়।
লাইভ আপডেট
১:৩২: খেলা হবে। আপনারা খেলে বিজেপির বলটাকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিন যাতে ওরা গুন্ডামি না করতে পারে। আজ আমি ভাঙা পায়ে এসেছি। প্রার্থনা করবেন যেন জেতার পরে দুটো পা নিয়েই সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারি।
১:৩১: এখন বিজেপির প্রচুর মন্ত্রী আছে। যারা ভোটের এজেন্ট, শুনে রাখুন। ওরা বাইরে থেকে গুন্ডা আনার প্ল্যানিং করছে। ট্রেনে করে বাইরে থেকে লোক এনে ঢুকিয়ে দেবে। চোখ-কান খোলা রাখবেন। বাইরের কাউকে দেখলেই প্রশাসনকে জানাবেন।
১:২৯: এখন ওরা বলছে এনআরসি করছে। যাদের জন্ম ৫০-৬০ বছর আগে তারা কোথা থেকে এনে দেবে সার্টিফিকেট? এরপর বহিরাগত গুন্ডারা এসে বলবে, তোমরা এখানে থাকবে না!
১:২৭: এখানে সবাই চোর? তোমরা কি? সবচেয়ে বড় চোর। ইউপিতে সবচেয়ে বেশি নারী নির্যাতন হয়। একজন নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে আগুন লাগিয়ে মেরে ফেলা হয়। তার বাবাকেও খুন করা হয়। আগামীদিন ওরা কৃষকদের জমি দখল করে নেবে। আপনারা খাবেন কি?
১:২৫: তোমরা আমাকে অনেক আঘাত করেছ- হাত, মাথা, কোমর, পা কিছুই বাকি রাখো নি। আমি শুধু একটাই কথা বলি। আমার কন্ঠ আপনারা স্তব্ধ করতে পারবেন না। বিজেপি কে হারাবো- এটা আমাদের শপথ। সারা ভারত তাকিয়ে আছে।
১:২৪: নরেন্দ্র মোদী শুধু দেখে দেখে ভাষণ দেয়, একটা-দুটো বাংলা কথা বলে। ওরা চায় বাংলা দখল করতে। ঝাড়খন্ডে আগে বিজেপি সরকার ছিল। মানুষ খেতে পেত না, বেকারদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল। আদিবাসীদের জমি লুট হত। বাংলায় আমরা বেকারত্ব কমিয়েছি। বাংলা এখন সব ক্ষেত্রে এক নম্বরে।
১:২৩: বিজেপির লোকেরা যদি ভোট লুট করতে আসে, তাহলে হাতা খুন্তি নিয়ে রুখে দাঁড়াবেন। অত্যাচার নয়, আমরা শান্তির বাণী নিয়েই লড়ে যাব।
১:২১: এবারে আমার পা ভাঙা হয়েছে। আগেও অনেকবার আমার ওপর আঘাত নেমে এসেছে। আগে মারতো সিপিএম আর এখন বিজেপি। শুধু পান বাহার চিবোতে চিবোতে ওরা ঠিক করে দেবে কে কি খাবে, পরবে। বাংলার মা-বোনেদের কম ভেবনা।
১:২০: বিজেপি নেতারা কখনো কখনো ফাইভস্টার হোটেল থেকে খাবার নিয়ে এসে তপশিলি বাড়িতে ছবি তোলে। এটা সেই পরিবারের অসম্মান। আমি কিন্তু আদিবাসী একটি বাউরি ঘরের মেয়ের হাতের রান্না খেয়ে থাকি।
১:১৯: আমি চাই জঙ্গলমহল সুন্দরী হয়ে থাক, সকলের মন কাড়ুক, ভালো থাকুক।
১:১৭: বিনা পয়সায় খাদ্য, বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য, বিনা পয়সায় পড়াশোনা- কোথায় পাবেন? একমাত্র বাংলাতেই সম্ভব।
১:১৫: এখন থেকে বছরে দুবার দুয়ারে সরকার হবে। ক্যাম্পে গিয়ে নাম লেখাবেন। সব পরিষেবা, ভাতা পাবেন। এখন মানুষকে বিনা পয়সায় রেশন দিই। আগামীদিন রেশন দোকানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনার বাড়ির দরজায় দরজায় রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে।
১:১৩: বিহারের নির্বাচনের সময় মোদি বলেছিলেন বিহারের সব সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে কোভিডের টিকা দেওয়া হবে। দেওয়া হয়েছে? হয়নি। সব মিথ্যা, শুধু মিথ্যাচার আর অনাচার।
১:১২: আমরা সবাই চোর, আর তুমি একা সাধু? দুঃশাসনের সবচেয়ে বড় নিদর্শন বিজেপি। নোট বন্দির নামে মানুষকে গোল্লায় ফেলে দিল। আমি বললাম আমরা বিনা পয়সায় জনগণকে কোভিড -এর টিকা দেব। মোদি দিচ্ছে না। আবার কোভিড শুরু হচ্ছে। আমরা বলছি মোদিকে, ভাষণ কম দাও।
১:১০: লোকসভা নির্বাচনে জিতে দু’বছরের বিজেপি কি কিছু করেছে আপনাদের জন্য? কোন হসপিটাল, স্কুল, কলেজ করেছে? রাস্তাঘাট করেছে? কিচ্ছু করেনি। একেবারে শূন্য। মিথ্যে কথা বলে ভোট নিয়েছিল। ওরা ভাবে মানুষ বোকা। টাকা দিয়ে মিছিলে যেতে বলে। ওদের এবার শূন্য করে দিন। বিজেপিকে ভোট দেবেন না।
১:০৮: আমরা আদিবাসীদের জমির অধিকার দিয়েছি। বাগদি বাউরী কুড়মি মতুয়া বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। আমরা আরো অনেক কাস্টকে ওবিসি লিস্টে আনব। বিরসা মুন্ডা, রঘুনাথ মুর্মুর জন্মদিনে আমরা ছুটি দিয়েছি।
১:০৬: বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছে। গত লোকসভা নির্বাচনে আমাদের কি অপরাধ ছিল যে আমরা এই সিট হেরে গেলাম? বিজেপি এখানে কয়েকটা বুথে রিগিং করে জিতেছে। আপনারা যদি আমাদের একটু ভালোবাসেন একটা বুধেও রিগিং করতে দেবেন না। এখানে ডাক্তার খগেন্দ্র মাহাতো কে ভোট দেওয়া মানে আমাকে ভোট দেওয়া। এটা দিল্লির ভোট নয়, বাংলার ভোট। ঝারগ্রাম আমার দেখার কথা। দিল্লির না। তারা পারবেই না।
১:০৫: আমি ঝাড়গ্রাম কে খুব ভালোবাসি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর গত ১০ বছরে একটা মানুষও এখন খুন হয়নি, রক্ত ঝরে নি। আগে যেখানে মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পেত, এখন সেখানে উন্নয়ন হচ্ছে।
১:০৩: ঝাড়গাম জেলা নতুন জেলা। আমি করে দিয়েছি। হসপিটাল হয়েছে। এই জেলা ইউনিভার্সিটি করে দেওয়া হয়েছে। এখন ঝাঁ-চকচকে রাস্তা চারিদিকে। সেতু তৈরি হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। এখানে অনেক ইকোট্যুরিজম তৈরি হয়েছে।
১:০২: আজ প্রচন্ড রোদ মাথায় করে মা-বোনেরা এসেছেন, আমার যন্ত্রনা লাঘব হয়েছে। আমার পায়ে চোট লেগেছে, কিন্তু আমি যদি না বেরোই, বিজেপির দাঙ্গাবাজরা ঝাড়গ্রাম দখল করে নেবে, আমার ভাইবোনেরা কোথায় যাবে?
০১:০০: আমরা সবাই ঝাড়গ্রাম কে ভালোবাসি। এক সময় মানুষ এখানে স্বাস্থ্য উদ্ধার করতে আসতেন। যখন এখানে মাওবাদী আন্দোলন চলছিল, প্রতিবছর মানুষ খুন হতো, ভয়ে কেউ আসতো না। আমি কিন্তু আসতাম।