‘ফোর্বস’-এর প্রভাবশালীর তালিকায় প্রশান্ত কিশোর, মহুয়া মৈত্র
নির্বাচনের ফলাফল এদিক থেকে ওদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন তিনি। ভোটের রাজনীতিটা তাঁর চেয়ে ভাল বোঝেন খুব কম ব্যক্তি। তাই ভরাডুবি থেকে ফিরতে অনেক রাজনৈতিক দলই তাঁর সাহায্য নেন। এই মুহূর্তে যিনি রাজ্যের শাসকদলের ভোটকুশলী, সেই প্রশান্ত কিশোর নতুন বছরে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে উঠে আসছেন।
আন্তর্জাতিক জনপ্রিয় পত্রিকা ‘ফোর্বস’-এ প্রকাশিত প্রথম ২০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের ‘পিকে স্যর’। তালিকায় রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের অন্যতম তরুণ মুখ মহুয়া মৈত্রও। ‘ফোর্বস’-এর তালিকায় নাম উঠেছে নতুন প্রজন্মের বহু তারকার।
‘ফোর্বস’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড টপ টোয়েন্টি ফিউচার পাওয়ারফুল পিপল’-এর তালিকাটা কিন্তু বেশ আকর্ষণীয়। কিশোরী পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ থেকে তরুণ বামপন্থী নেতা কানহাইয়া কুমার, নিউজিল্যান্ডের উদারপন্থী প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন থেকে সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন, ফিনল্যান্ডের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সানা মেরিন থেকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন – কে নেই এই তালিকায়!
তবে এই তালিকায় সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব প্রশান্ত কিশোর এবং মহুয়া মৈত্র। ইনিই সেই ব্যক্তি, যিনি বিহার এবং অন্ধ্রে শাসকের গদি বদলে দিতে নিজের কৌশল ফলপ্রসূ করেছেন সাফল্যের সঙ্গে। প্রশান্ত কিশোরের ঠিক করে কৌশলে ভোটে লড়তে নেমেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। ফলে তিনি যে ২০২০তে অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হবেন, সেটাই স্বাভাবিক।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের প্রভাবও বেশ ভাল। বিদেশে এমবিএ-র সফল চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে যুব কংগ্রেসে যোগদান এবং পরে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করে করিমপুরের বিধায়ক হওয়া – এই উত্তরণ যথেষ্ট নজরকাড়া। ২০১৯-এ কৃষ্ণনগরের সাংসদ হয়ে লোকসভায় প্রথম বক্তব্যেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বাকযুদ্ধে তাঁকে হারানো কঠিন। অত্যন্ত উদ্যমী, তৎপর মহুয়া মৈত্র এলাকায় সংগঠনের রাশও ধরে রাখেন অনায়াসে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ স্নেহধন্যা এই সাংসদকে বিশ্বের প্রথম কুড়ি প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে বেছে নিয়েছে ‘ফোর্বস’ ম্যাগাজিন।