কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

ভবানীপুরে জলে বিষ কি দিল্লির প্রকারন্তর? উঠছে প্রশ্ন

March 17, 2021 | 2 min read

২০১৯ সালের নভেম্বর মাস। আর কদিন পরই দিল্লির নির্বাচন। এই সময়েই ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্টান্ডারাইজেশন সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। এই রিপোর্টে জানানো হয়, দিল্লির জলের মান অত্যন্ত খারাপ। পানীয় জলের কোয়ালিটি প্যারামিটারের ১১টির মধ্যে প্রায় ১০টিতেই ব্যর্থ হয়েছে দিল্লি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী তথা চাঁদনীচক লোকসভা আসনের সাংসদ হর্ষ বর্ধন এই বিষয়ে একটি টুইট করেন। সেখানে বলেন, বিনামূল্যে জল সরবরাহের নাম করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জনগণকে বিষ জল পান করাতে বাধ্য করছে। ২০টি শহরের জলের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, দিল্লির জল সব থেকে বিষাক্ত। আপ সরকার উন্নয়নের লম্বা ফর্দ দেয়। কিন্তু মানুষকে সুরক্ষিত পানীয় জল দিতে পারে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তারপরই, বিআইএসের রিপোর্টকে ভুল বলেন কেজরিওয়াল, বলেন, দিল্লির পানীয় জলে কোনও সমস্যা নেই। হর্ষবর্ধনের টুইটের উত্তরে বলেন, স্যার আপনি একজন চিকিৎসক। আপনি খুব ভালো করেই জানেন, এই রিপোর্ট মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণেদিত। আপনার মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জল নিয়ে নোংরা রাজনীতি মানায় না।

২০২১ সালের মার্চ মাস। আর কদিন বাদেই বাংলায় নির্বাচন। ভবানীপুর বিধানসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জল খেয়ে মৃত্যু হয় একজনের। ডায়েরিয়া হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল। পরিবারের দাবি, দূষিত জল খেয়েই অসুস্থ হয় পরিবারের সদস্যরা। এলাকার অনেকেই গত কয়েক দিন ধরে পেটের সমস্যায় ভুগছে বলে জানা গিয়েছে। পাশের ওয়ার্ড ৭৪ নম্বরে জেলের মধ্যে আরও একজনের মৃত্যু হয় সোমবারই। প্রত্যেকেরই দূষিত জল খেয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।

মিল খুঁজে পাচ্ছেন? দুটি নির্বাচনই জিততে মরিয়া বিজেপি। দিল্লিতে তারা হেরে যায়। বাংলায় এখন যেন তেন প্রকারেণ জেতার চেষ্টা। তাহলে কি ষড়যন্ত্র? কেমন যেন চেনা চেনা গন্ধ। মানুষ মারা যাক, তবুও নির্বাচন জিততেই হবে? এতটাই নিচে নামতে পারে কেউ? উঠছে প্রশ্ন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Election

আরো দেখুন