এই অসময়ে বেতনবৃ্দ্ধি চলবে না, বেসরকারি স্কুলগুলিকে কড়া বার্তা শিক্ষামন্ত্রীর
রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলোর বেতনবৃদ্ধি বিষয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। করোনাভাইরাস মোকাবিলার পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যের কয়েকটি বেসরকারি স্কুল টিউশন ফি বৃদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল কয়েক দিন ধরে। নাম না করে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সেই বেসরকারি স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে কড়া মনোভাবের কথা জানালেন শিক্ষা মন্ত্রী। ভিডিও বার্তা মারফত তিনি বলেছেন ” এই রকম পরিস্থিতির মধ্যেও বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুল টিউশন ফি বৃদ্ধি করেছে বলে আমাদের কাছে অভিভাবকরা অভিযোগ জানিয়েছেন। রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দপ্তর মাধ্যমে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি আপনারা এগুলো করবেন না।”
শুধু ফি বৃদ্ধি নয়, করোনার ধাক্কায় যে ছাত্রছাত্রীর পরিবার মাসিক বেতন দিতে পারবে না, তাদের কথা মানবিক দিক থেকে বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ” করোনা ভাইরাস এর জন্য আর্থিক কারণে যারা বেতন দিতে সমস্যার মধ্যে পড়বেন তাদের বিষয়গুলিও যেন মানবিকভাবে দেখা হয়।” সূত্রের খবর, কলকাতার তিন-চারটি বেসরকারি স্কুল ফি বৃদ্ধি করে অভিভাবকদের কাছে নয়া ফি বৃদ্ধির তালিকা পাঠায়। যার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিভাবকরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান।
দেশজুড়ে ক্রমশই বাড়ছে করোনাভাইরাস এ আক্রান্তের সংখ্যা।আর সেই করোনাভাইরাস কে মোকাবিলা করার জন্য দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। অবশ্য লকডাউন এর আগে থেকেই দেশজুড়ে রাজ্য স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বন্ধ করার ঘোষণা হয়েছে। এ রাজ্যেও গত ১৫ ই মার্চ থেকে রাজ্যের স্কুল গুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে জানুয়ারি থেকে শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও বিশেষত সিবিএসই এবং আই সি এস-ই অনুমোদিত স্কুল গুলি সমস্যায় পড়েছে। মার্চের শেষ সপ্তাহ এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এই স্কুলগুলির পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়।
লকডাউন এর কারণে অনেক বেসরকারি স্কুলেই এখনো পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়নি। তবে ক্লাস শুরু না হলেও কয়েকটি বেসরকারি স্কুল পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের জন্য টিউশন ফি বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, কয়েকটি স্কুলের তরফে মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতন দেওয়ার কথা অভিভাবকদের এসএমএস মারফত জানানো হয়েছে বলে অভিযোগ।তা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এই বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকাও জারি করতে চলেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর।