দমদমে বাড়ি বাড়ি দোলের শুভেচ্ছাপত্র পাঠাচ্ছে তৃণমূল
জনসংযোগ মজবুত করতে দমদম(Dumdum) কেন্দ্রে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি দোলের শুভেচ্ছাপত্র পাঠাচ্ছে তৃণমূল(TMC)। এই কার্ডের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের প্রার্থী তথা তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসুর(Bratya Basu) তরফে শুভেচ্ছা জানানো হবে সমস্ত ভোটারকে। মূলত এই হেভিওয়েট কেন্দ্রে ভোট ব্যাঙ্ককে অটুট রাখতেই এই উদ্যোগ। বাংলা এবং হিন্দি, দুই ভাষাকে ব্যবহার করা হচ্ছে এই শুভেচ্ছাপত্রে।
তৃণমূলের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন দমদম বিধানসভা কেন্দ্র। তাই রাজ্যে ভোট ঘোষণার পরই একাধিক অভিনব জনসংযোগ কর্মসূচিকে সামনে আনা হয়েছে নেতৃত্বের তরফে। প্রথম পর্যায়ে নতুন ভোটারদের মন পেতে প্রথম ভোটার হওয়ার শুভেচ্ছাপত্র পাঠিয়েছিল তৃণমূল যুব কংগ্রেস। যুব সমাজের কাছে পাঠানো সেই কার্ড যথেষ্ট প্রভাবও ফেলেছিল নতুন ভোটাদের কাছে। এর পরবর্তী ধাপ হিসেবে দোলের শুভেচ্ছাপত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত। তবে এবার সমস্ত ভোটাকেই টার্গেট করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে দমদম বিধানসভা এলাকার দু’টি পুরসভার প্রত্যেক বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে এই কার্ড। দমদম পুরসভা এলাকা থেকে এই কর্মসূচি শুরু করা হবে। শুভেচ্ছাপত্র পাঠানো হবে দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকাতেও।
কর্মসূচি প্রসঙ্গে দমদম কেন্দ্রের তৃণমূল নেতা বরুণ নট্ট বলেন, আমাদের দলের প্রার্থী ব্রাত্য বসু যেহেতু বিধানসভা এলাকারও চেয়ারম্যান, তাই তাঁর সম্মতিক্রমে আমাদের এই কর্মসূচি। বিধানসভা এলাকার প্রত্যেক ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়িতে এই দোলের শুভেচ্ছাপত্র পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। দমদম পুর এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই এই কার্ড বিলির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ভোটের মুখে জনসংযোগের লক্ষ্যে শুভেচ্ছাপত্র বিলি করলেও যথেষ্ট সংযত পদক্ষেপ নিচ্ছে তৃণমূল। দুই ভাষার ব্যবহারে যেমন সব ভাষাভাষীর মানুষকে ছুঁয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রাখা হচ্ছে, তেমনই কার্ডে থাকছে না তৃণমূলের দলীয় প্রতীক। স্রেফ দলনেত্রী এবং প্রার্থীর ছবি সহ শুভেচ্ছা বার্তা থাকছে সেখানে। যদিও শাসকদলের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। গেরুয়া পার্টির উত্তর শহরতলি জেলা কমিটির সদস্য পার্থ ভদ্র বলেন, মানুক আর তৃণমূলের শুভেচ্ছা গ্রহণ করবে না। আসলে শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে দলটার। তাই তারা যাই করুক, তা দিয়ে মানুষের মন জয় আর সম্ভব নয়।