ফেসবুকে মহিলা সাংবাদিককে কটূক্তি, ‘বং গাই’ কিরণ দত্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু পুলিশের
মহাফাঁপরে ‘দ্যা বং গাই’। ফেসবুকে এক মহিলা সাংবাদিককে কটূক্তি এবং কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে ‘দ্যা বং গাই’ খ্যাত ইউটিউবার কিরণ দত্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার গড়ফা থানায় এই বিষয়ে কিরণ দত্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পত্রের সঙ্গেই তথ্য-প্রমাণ হিসেবে জমা দেয়া হয় তাঁর আপত্তিকর মন্তব্যের স্ক্রিনশটের প্রিন্ট আউটও।
এর পরেই অভিযুক্ত কিরণ দত্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে গড়ফা থানার পুলিশ। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যে তথ্য রটিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে, আদালত খুললেই কিরণ দত্তের বিরুদ্ধে একটি মানহানীর মামলাও দায়ের করা হবে জানা গিয়েছে।
চলচ্চিত্র, গান বা ব্যক্তিদের ট্রোল করে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবার হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্থান দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র কিরণ দত্তের। একাধিক ট্রোল ভিডিও বানিয়ে ক্রমেই নেটিজেনদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে এই যুবক। যদিও নিজের কাজকে সৃজনশীল হিসেবে দাবি করলেও, তার গুণগতমান নিয়ে সমালোচনায় সরব নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। তবে যে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে অল্প বয়সেই তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন, এবার সেই ফেসবুকেই সামান্য অসাবধানতার কারণ, বিপদ হয়ে দাঁড়াল নামকরা এই ইউটিউবারের কাছে।
ঘটনার সূত্রপাত, গত রবিবার রাতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনবরত নেটিজেনদের কাছে ট্রোল বা ব্যাঙ্গের শিকার হতে থাকা মৃদুল দেব নামে ষাটোর্ধ এক হতদরিদ্র মানুষের দূর্দশার খবর সম্প্রচার করা হয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হতেই তা লক্ষাধিক মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে প্রতিবেদনটি নিমিষেই ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে।
যদিও আশ্চর্যজনকভাবে, এই খবরটির জন্য সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককেই আপত্তিকর ভাষায় তীব্র শ্লেষের সঙ্গে আক্রমণ শুরু করেন কিরণ দত্ত। আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন ওই প্রতিবেদনে কণ্ঠস্বর দেওয়া এক মহিলা সাংবাদিককেও। এমনকি তাঁকে আক্রমণ শানাতে, ব্যবহার করেন একটি অশালীন শব্দও।
এর পরেই গড়ফা থানায় কিরণ দত্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।