জোর ধাক্কা বিজেপিতে, একাই লড়ার সিদ্ধান্ত জোটসঙ্গী জিএনএলএফের
আশঙ্কাই সত্য হল! এবারে বিজেপির সঙ্গ ছাড়ল জিএনএলএফ (GNLF)! পাহাড়ে বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। জোট ছেড়ে বেড়িয়ে এল জিএনএলএফও! তিন আসনে এককভাবে বিজেপির (BJP) প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল। পাহাড়ে একাই লড়বে জিএনএলএফ। তিন কেন্দ্রেই প্রার্থী দেবে তারা। শীঘ্রই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবে। দার্জিলিং আসন থেকে দাঁড়াচ্ছেন অজয় এডওয়ার্ড। বাকি দুই আসনের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করবে দলের কার্শিয়ং এবং কালিম্পং শাখা কমিটি। “দলের নীচুতলার কর্মীরা বিজেপির প্রার্থী তালিকা পছন্দ করছে না। কিছুতেই তারা মেনে নিতে পারছে না। তাই জোট ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে হল।” জানালেন দলের সাধারন সম্পাদক মহেন্দ্র ছেত্রী।বিজেপির সঙ্গে জোট করে ২০১৯-এ দার্জিলিং উপনির্বাচনে জয়ী হয় জিএনএলএফ প্রার্থী নীরজ জিম্বা। ওই বছরেই লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপিকেই সমর্থন জানায় তারা। একুশের কুরুক্ষেত্রেও বিজেপির হাত ধরেই এগোচ্ছিল। বেশ কয়েকবার পাহাড়ের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে বৈঠকও করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর সঙ্গে। বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা’র সঙ্গেও। গত মাসে দার্জিলিংয়ে বিজেপির পরিবর্তিন যাত্রাতেও সঙ্গী ছিল তারা। কিন্তু আচমকাই জোট সঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা না করে একতরফা বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে দলের সব তলার নেতারাই।
গতকাল রাত থেকে দফায় দফায় বৈঠক করে জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় জিএনএলএফ। এবং একাই লড়বে বলে জানিয়ে দেয়।একই ইস্যুতে গতকাল, মঙ্গলবার, জোট ছেড়ে বেড়িয়ে আসে সিপিআরএমও! পাহাড়ে এবারে লড়াই বহুমুখী! অন্যদিকে পাহাড়ের তিন আসনে আজ মনোনয়ন জমা দেন বিনয়পন্থী মোর্চার তিন প্রার্থী। রীতিমতো ঝাঁকজমক শোভাযাত্রা করেই প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেন। দার্জিলিং আসনে কেশবরাজ পোখরেল, কার্শিয়ংয়ে ছিড়িং লামা ঢাহাল এবং কালিম্পংয়ে রুদেন লেপচা। তিন আসনেই জয়ী হবে বলে দাবী অনীত থাপার।এদিকে সমতলের শিলিগুড়িতে আজ মনোনয়ন জমা দেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী নান্টু পাল। নির্দল হিসেবেই লড়ছেন তিনি। ঢাক, ঢোল পিটিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে আজ মনোনয়ন জমা দিলেন শিলিগুড়ির নির্দল প্রার্থী নান্টু পাল। বাড়ি থেকে মহকুমাশাসকের দফতর পর্যন্ত শোভাযাত্রা করা হয়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর অনুগামীরা। দলীয় প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় তৃণমূল ছাড়েন সস্ত্রীক নান্টু পাল। এর আগে ২০০৬ সালে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে লড়েছিলেন তিনি। সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্যের কাছে হেরেছিলেন। এবারে জয় নিশ্চিত বলেই দাবী প্রার্থীর।