ঘরে বসেই তৈরি করুন দুর্দান্ত ভেষজ রঙ

ইটের মতো রঙের জন্য ব্যবহার করুন লাল চন্দন অথবা মঞ্জিষ্ঠা।

March 25, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ভেষজ রং বা আবির বানাতে প্রথমে নির্বাচিত রঙের ফুল বা পাতা বা মূল সংগ্ৰহ করে রস বের করে নিন। গুঁড়ো রং বা আবির বানাতে ব্যবহার করতে পারেন কর্ন স্টার্চ ও অ্যারারুট বা চালের গুঁড়ো। মুলতানি মাটি হলে আরও ভালো। সুগন্ধের জন্য দিন চন্দন গুঁড়ো। 
 জলরঙের জন্য উদ্ভিজ্জ রঞ্জকগুলিকে গরম জলে ফুটিয়ে তার রং নিষ্কাশন করে ঠান্ডা করে নিন। উপযুক্ত পরিমাণ জল মিশিয়ে রঙের গাঢ়ত্ব ঠিক করে নিন পছন্দমতো।


ফুল, ফল, সব্জির রং লাল রঙের জন্য লাল গোলাপের পাপড়ির রস বের করে কর্ন স্টার্চ ও অ্যারারুটের মিশ্রণের সঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন লাল আবির। 
 ইটের মতো রঙের জন্য ব্যবহার করুন লাল চন্দন অথবা মঞ্জিষ্ঠা।
 হলুদ রঙের জন্য ব্যবহার করুন কাঁচা হলুদের রস, গুঁড়ো হলুদ, হলুদ গাঁদা ফুলের পাপড়ি।
 কমলা রঙের জন্য পলাশ ফুলের পাপড়ি আলাদা করে নিয়ে বেটে বা গরম জলে ফোটান। পেয়ে যাবেন কমলা রং। গাজর থেকেও একই ভাবে পেতে পারেন কমলা রং। এছাড়া কমলা গাঁদা ফুলের পাপড়ি থেকেও কমলা রং সহজেই পাবেন।
 বিট ছোট ছোট টুকরো করে কেটে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখুন। পরে এই গুঁড়ো গরম জলে মিশিয়ে নিন অথবা কাঁচা বিটের রস বের করে অ্যারারুট ও কর্ন স্টার্চ সহযোগে বানিয়ে ফেলুন গোলাপি আবির।
 সবুজ রং পেতে চাইলে ব্যবহার করুন পালংশাকের পাতা।
 নীল রঙের আবির বানাতে নীলকণ্ঠ অপরাজিতা সংগ্ৰহ করুন। 
 পার্পল ক্যাবেজ বা বেগুনি রঙের বাঁধাকপির এক একটি স্তর আলাদা করে তার রস থেকে পেয়ে যেতে পারেন বেগুনি রং।
উপরিউক্ত উপকরণগুলি সংগ্ৰহ করে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখলে সেই গুঁড়ো অনেকদিন স্থায়ী হয়। যে কোনও সময় উপাদানগুলি থেকে ভেষজ রং তৈরি করা যায়। টাটকা উপকরণের রস থেকেও একইভাবে রং বানিয়ে নেওয়া যায়। 
কেন ভেষজ রং?


বাজারের রঙের ক্ষতিকারক রাসায়নিকের প্রভাবে র‌্যাশ, এগজিমা, চুলকানি, সোরিয়াসিসের সমস্যা আরও বাড়ে। আবিরে থাকে অভ্র এবং মিহি কাচের গুঁড়ো যা শিশুর শ্বাসনালীতে পৌঁছে হাঁচি, কাশি সহ অ্যাজমার ঝুঁকি বাড়ায়। নিকেল, লেড, ক্যাডমিয়াম, জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম ইত্যাদির ব্যবহারে চুল ঝরে যাওয়া, ত্বকের ফুসকুড়ি, র‌্যাশ, চুলকানি, হাঁপানি সহ নানা সমস্যার সূত্রপাত হয়। তাই আনন্দের উৎসবকে অমলিন রাখতে ব্যবহার করুন ভেষজ রং। আর হ্যাঁ, রং খেলার পর অধিক ক্ষারযুক্ত সাবান না ব্যবহার করে প্রাকৃতিক রিঠা ব্যবহার করুন। তাতে ত্বকের লাবণ্য অটুট থাকবে। 

লিখেছেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ সুস্মিতা বেরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন