দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

প্রচারে বেরিয়েও জনতার সমস্যা সমাধানে ব্যস্ত বিমান

March 26, 2021 | 4 min read

বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটা। ভালোই টের পাওয়া যাচ্ছিল সূর্যের তাপ। বারুইপুর পশ্চিমের(Baruipur Paschim) তৃণমূল(TMC) প্রার্থী বিদায়ী অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়(Biman Banerjee) পৌঁছলেন পদ্মপুকুরে দলীয় কার্যালয়ে। গন্তব্য শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে ধপধপি ২ নম্বর পঞ্চায়েত। প্রচারে তাঁর সঙ্গী বারুইপুর পশ্চিম ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ও জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ। গাড়ি ছুটল গ্রামের দিকে। লক্ষ্য ১৬টি বুথের অধিকাংশ গ্রামে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া। ধপধপির ডাক্তারখানা মোড়ে এলেন বিমানবাবু। সেখানে আগে থাকতেই হাজির ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান, অঞ্চল ও বুথস্তরের তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরা পুষ্প বৃষ্টি করে প্রার্থীকে সাদরে বরণ করে নিলেন। বিমানবাবুও পানামা হ্যাট পরে নিলেন রোদের হাত থেকে বাঁচতে। তৃণমূল কর্মীরা স্লোগান তুললেন, কাজের মানুষ বিমানদাকে আবার চাই।


বেলুনে সজ্জিত টোটোতে চেপে বিমানবাবু শুরু করলেন প্রচার। পিছনে টোটোতে বুথ ও অঞ্চলের কর্মীরা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। প্রার্থীর গাড়ির সামনে তৃণমূল কর্মীরা দলের পতাকা নিয়ে। সরু রাস্তা ধরে গাড়ি এগিয়ে চলল এক গ্রাম থেকে আর এক গ্রাম। হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন প্রার্থী। কেউ কেউ এসে প্রার্থীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে যাচ্ছেন। সিংহপাড়া ঘুরে পশ্চিম মল্লিকপুর দাসপাড়া এলাকায় যেতেই বিমানবাবু গাড়ি থেকে নেমে কর্মীদের সঙ্গে হাঁটা শুরু করলেন। এক বাড়ির সামনে প্রার্থী যেতেই ঘর থেকে এক যুবতী বেরিয়ে এসে মোবাইলে ফোনের ক্যামেরায় তাঁর ছবি তুললেন। বিমানবাবু তাঁর কুশল সংবাদ নিলেন। প্রার্থীকে দেখে এগিয়ে এলেন ৬০ বছরের আঙুরবালা নস্কর। বললেন, আবার মমতাকেই চাই, তুমি এগিয়ে চলো। গৃহবধূ রীতা নস্কর এগিয়ে এসে বললেন, কাজ তো হয়েছে এলাকায়। বাম আমলে তো কিছুই ছিল না। এমন সব কথা শুনে স্বাভাবিকভাবেই উৎসাহ বেড়ে গেল প্রার্থীর। এগিয়ে চললেন তিনি। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মহিলারা। তাঁদের বিমানবাবু বললেন, তৃতীয়বারের জন্য মমতাকে আনতে হবেই। এর মধ্যেই কয়েকজন মহিলা বললেন, দাদা জলের সমস্যা খুব। টিউবওয়েল ভেঙে গিয়েছে। দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে। তৃণমূল প্রার্থী ডেকে নিলেন পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্যকে। মৃদু ধমক দিয়ে তাঁদের কাছে সমস্যা জানতে চাইলেন। এরপরে আবার পথ চলা শুরু প্রার্থীর। ছোট ছোট শিশুর দল ফুল নিয়ে ছুটে এল প্রার্থীকে প্রণাম করতে। বিমানবাবু তাঁদের মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে আবার টোটোয় উঠলেন। কিন্তু কর্মীদের আব্দারে আবার গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা শুরু করতে হল তাঁকে। রায়পাড়া হয়ে ঢুকলেন পশ্চিম মল্লিকপুরের লস্করপাড়ায়। গ্রামের মহিলারা প্রার্থীকে পেয়ে বললেন, পানীয় জলের কল নেই দাদা। একটু দেখবেন। কেউ বললেন, দাদা রাস্তাটার কাজ এখনও বাকি আছে। বিমানবাবু সরাসরি ইঞ্জিনিয়রকে ফোন করে ভর্ৎসনা করে বললেন, আপনাদের জন্য কথা শুনতে হচ্ছে। দ্রুত এলাকায় এসে সমস্যা মেটাতে হবে। তাঁর এই উদ্যোগে খুশি গ্রামের লোকজন। বললেন, আপনার পাশে আছি দাদা। এরপরে মন্দিরের কাছে ডাব খেয়ে কিছুক্ষণের বিশ্রাম। তবে সেখানেও শুনলেন বিভিন্ন সমস্যার কথা। পঞ্চায়েত প্রধানকে তা দেখবার জন্য নির্দেশও দিলেন। দুপুর ২টোর পরে প্রচার শেষ হল বিমানবাবুর। বললেন, ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি প্রচারে। এত উদ্দীপনা মানুষের, জয় আসবেই। এখানে জলের কিছু সমস্যা আছে। তাও মিটবে। কাজ চলছে। মানুষ আবার মমতাকেই চাইছে। এরপর বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শিখরবালি ১ পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরে বেড়ালেন প্রার্থী। গ্রামের মানুষ তাঁদের কাছের প্রার্থীকে পেয়ে আপ্লুত।  বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটা। ভালোই টের পাওয়া যাচ্ছিল সূর্যের তাপ। বারুইপুর পশ্চিমের তৃণমূল প্রার্থী বিদায়ী অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছলেন পদ্মপুকুরে দলীয় কার্যালয়ে। গন্তব্য শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে ধপধপি ২ নম্বর পঞ্চায়েত। প্রচারে তাঁর সঙ্গী বারুইপুর পশ্চিম ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ও জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ। গাড়ি ছুটল গ্রামের দিকে। লক্ষ্য ১৬টি বুথের অধিকাংশ গ্রামে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া। ধপধপির ডাক্তারখানা মোড়ে এলেন বিমানবাবু। সেখানে আগে থাকতেই হাজির ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান, অঞ্চল ও বুথস্তরের তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরা পুষ্প বৃষ্টি করে প্রার্থীকে সাদরে বরণ করে নিলেন। বিমানবাবুও পানামা হ্যাট পরে নিলেন রোদের হাত থেকে বাঁচতে। তৃণমূল কর্মীরা স্লোগান তুললেন, কাজের মানুষ বিমানদাকে আবার চাই।


বেলুনে সজ্জিত টোটোতে চেপে বিমানবাবু শুরু করলেন প্রচার। পিছনে টোটোতে বুথ ও অঞ্চলের কর্মীরা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। প্রার্থীর গাড়ির সামনে তৃণমূল কর্মীরা দলের পতাকা নিয়ে। সরু রাস্তা ধরে গাড়ি এগিয়ে চলল এক গ্রাম থেকে আর এক গ্রাম। হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন প্রার্থী। কেউ কেউ এসে প্রার্থীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে যাচ্ছেন। সিংহপাড়া ঘুরে পশ্চিম মল্লিকপুর দাসপাড়া এলাকায় যেতেই বিমানবাবু গাড়ি থেকে নেমে কর্মীদের সঙ্গে হাঁটা শুরু করলেন। এক বাড়ির সামনে প্রার্থী যেতেই ঘর থেকে এক যুবতী বেরিয়ে এসে মোবাইলে ফোনের ক্যামেরায় তাঁর ছবি তুললেন। বিমানবাবু তাঁর কুশল সংবাদ নিলেন। প্রার্থীকে দেখে এগিয়ে এলেন ৬০ বছরের আঙুরবালা নস্কর। বললেন, আবার মমতাকেই চাই, তুমি এগিয়ে চলো। গৃহবধূ রীতা নস্কর এগিয়ে এসে বললেন, কাজ তো হয়েছে এলাকায়। বাম আমলে তো কিছুই ছিল না। এমন সব কথা শুনে স্বাভাবিকভাবেই উৎসাহ বেড়ে গেল প্রার্থীর। এগিয়ে চললেন তিনি।

রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মহিলারা। তাঁদের বিমানবাবু বললেন, তৃতীয়বারের জন্য মমতাকে আনতে হবেই। এর মধ্যেই কয়েকজন মহিলা বললেন, দাদা জলের সমস্যা খুব। টিউবওয়েল ভেঙে গিয়েছে। দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে। তৃণমূল প্রার্থী ডেকে নিলেন পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্যকে। মৃদু ধমক দিয়ে তাঁদের কাছে সমস্যা জানতে চাইলেন। এরপরে আবার পথ চলা শুরু প্রার্থীর। ছোট ছোট শিশুর দল ফুল নিয়ে ছুটে এল প্রার্থীকে প্রণাম করতে। বিমানবাবু তাঁদের মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে আবার টোটোয় উঠলেন। কিন্তু কর্মীদের আব্দারে আবার গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা শুরু করতে হল তাঁকে। রায়পাড়া হয়ে ঢুকলেন পশ্চিম মল্লিকপুরের লস্করপাড়ায়। গ্রামের মহিলারা প্রার্থীকে পেয়ে বললেন, পানীয় জলের কল নেই দাদা। একটু দেখবেন। কেউ বললেন, দাদা রাস্তাটার কাজ এখনও বাকি আছে। বিমানবাবু সরাসরি ইঞ্জিনিয়রকে ফোন করে ভর্ৎসনা করে বললেন, আপনাদের জন্য কথা শুনতে হচ্ছে। দ্রুত এলাকায় এসে সমস্যা মেটাতে হবে। তাঁর এই উদ্যোগে খুশি গ্রামের লোকজন। বললেন, আপনার পাশে আছি দাদা। এরপরে মন্দিরের কাছে ডাব খেয়ে কিছুক্ষণের বিশ্রাম। তবে সেখানেও শুনলেন বিভিন্ন সমস্যার কথা। পঞ্চায়েত প্রধানকে তা দেখবার জন্য নির্দেশও দিলেন। দুপুর ২টোর পরে প্রচার শেষ হল বিমানবাবুর। বললেন, ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি প্রচারে। এত উদ্দীপনা মানুষের, জয় আসবেই। এখানে জলের কিছু সমস্যা আছে। তাও মিটবে। কাজ চলছে। মানুষ আবার মমতাকেই চাইছে। এরপর বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শিখরবালি ১ পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরে বেড়ালেন প্রার্থী। গ্রামের মানুষ তাঁদের কাছের প্রার্থীকে পেয়ে আপ্লুত। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#tmc, #Biman Banerjee, #West Bengal Elections 2021

আরো দেখুন