দেশ বিভাগে ফিরে যান

‘মোদীর সত্যাগ্রহ’ নিয়ে আরটিআই দাখিল

March 28, 2021 | 2 min read

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে ১৯৭১ সালে সত্যাগ্রহ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) । তার জন্য গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খাটেন। শুক্রবার ঢাকায় দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর এই দাবি নিয়ে ধন্দ দেশজুড়ে। স্বয়ং নরেন্দ্র মোদির দপ্তরেই তথ্য জানার অধিকার (RTI) আইনে একাধিক আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের এক আইনজীবী কৃষ্ণমোহন পান্ডে এবং কংগ্রেস নেতা সরল প্যাটেল পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আরটিআই দাখিল করে শনিবার জানতে চেয়েছেন—১) কোন আইনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করায় জেলে যেতে হয়েছিল নরেন্দ্র মোদিকে? সেই অভিযোগের এফআইআর কপি প্রকাশ করা হোক। ২) নরেন্দ্র মোদি ভারতের কোন জেলে বন্দি ছিলেন? ৩) সত্যাগ্রহ করার জন্য সেই সময় জেলে কতদিন বন্দি ছিলেন তিনি? ৪) এই সত্যাগ্রহ, গ্রেপ্তার, জেলবন্দি সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করা হোক।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে (bangladesh freedom fight) সবথেকে বড় ভূমিকা নিয়েছিল ভারত সরকারই। দেশের সব রাজনৈতিক দলই মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে একজোট ছিল। সেই আবহে এই ইস্যুতে সত্যাগ্রহ করা হলে পুলিশ গ্রেপ্তার করবে কেন? আবার সরকারই যেখানে বাংলাদেশ গঠনের পক্ষে, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে সত্যাগ্রহ কার বিরুদ্ধে? দিনভর এরকম হাজারো প্রশ্ন ও কটাক্ষের জবাব দিতে এদিন প্রচারের ময়দানে নামে বিজেপি। দলের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রধান অমিত মালব্যের সাফাই, যাঁরা প্রধানমন্ত্রীর দাবিকে ঘিরে সন্দেহ প্রকাশ করছেন, তাঁরা ইতিহাস জানেন না। ১৯৭১ সালের ১ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত দিল্লিতে সত্যাগ্রহ পালন করেছিল ভারতীয় জনসঙ্ঘ। অমিত মালব্যের দাবি, বাংলাদেশ সরকার একটি শংসাপত্র দিয়েছিল অটলবিহারী বাজপেয়িকে। সেখানে লেখাও রয়েছে এই তথ্য। একইসঙ্গে তিনি আরও জানান, ১৯৭৮ সালে নরেন্দ্র মোদী নিজেই একটি বই লিখেছিলেন। সেই বইতেই সত্যাগ্রহ করে তিহার জেলে যাওয়ার কথা রয়েছে। আবার অন্য একটি দাবিকেও রিট্যুইট করেছেন মালব্য। সেখানে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে ১৯৭১ সালে ২৫ মে মিছিল করেছিল জনসঙ্ঘ। সেই মিছিলের ভিডিও দেখানো হয়েছে।

এই বিতর্কের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দু’দিনের বাংলাদেশ সফর সমাপ্ত হল। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার সকালে প্রথমে সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীবাড়িতে যান মোদী। সেখানে পুজো দেওয়ার পর গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে মতুয়াদের তীর্থভূমি ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করেন। মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ওড়াকান্দিতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা করেন মোদী । বাংলার ভোটপর্বে মোদীর এই সফর মতুয়া মন জয়ে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলে আশা বিজেপির।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Narendra Modi, #bangladesh freedom fight

আরো দেখুন