বর্ধমানে বিজেপির হাতে আক্রান্ত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে মন্ত্রী
বর্ধমানের পালিতপুরে বিজেপির হামলায় গুরুতর জখম দুই তৃণমূল কর্মীকে দেখতে হাসপাতালে এলেন মন্ত্রী তথা পূর্বস্থলী দক্ষিণের প্রার্থী স্বপন দেবনাথ (Swapan Debnath)। মঙ্গলবার রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ ডালিম ও শেখ জাহাঙ্গীরকে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের বর্ধমানে ২নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডালিমের মাথার খুলিতে জটিল অস্ত্রোপচারের পর ৭২ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। তাঁকে সম্পূর্ণ বিপন্মুক্ত বলে ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।
শনিবার সকালে জখম কর্মীকে দেখতে গিয়ে স্বপনবাবু বলেন, ঘটনার পর থেকে কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কর্মীদের দেখে গেলাম। চিকিৎসকরা অসাধ্য সাধন করেছেন। দল প্রথম দিন থেকে কর্মীদের পাশে ছিল, আগামীতেও থাকবে।
প্রসঙ্গত, ওই ঘটনার পর চারদিন কেটে গেলেও থমথমে পালিতপুরের বাগদি পাড়া। ওই রাতে এক তূণমূল কর্মীর বাড়ির একাংশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রান্নাঘর ও গোয়ালঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। আগুনে গোরু, ছাগল ও হাঁস পুড়ে যায়। রাতের বীভৎসতা ভুলতে পারছেন না প্রবীণ গোপাল খাঁ। তাঁর ছেলে তাপস খাঁর বাড়িতেই বিজেপির লোকজন আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। মন্ত্রী নিজে তাঁর সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ঘটনার পর আতঙ্কিত এলাকাবাসী। পাড়ার ভিতরের মাঠেই বেধড়ক মারধর করা হয় তৃণমূল কর্মীদের। একজনের বাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। ভোট মিটে গেলে দলের তরফ থেকে যথাযথ সাহায্য করা হবে।
মন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে স্বস্তি পেয়েছেন গুরুতর জখম ডালিম ও জাহাঙ্গীরের পরিবারের লোকজন। ডালিমের স্ত্রী তাসমিনা শেখ বলেন, আমার স্বামী তৃণমূল করার জন্য মার খেয়েছে। তবে দলের সবাই ওই ঘটনার পর থেকেই সঙ্গে আছেন। চিকিৎসায় কোনও সমস্যা হতে দেননি। আমরা তো ভেবেছিলাম উনি আর ঠিক হবেন না। চিকিৎসকরা বাঁচিয়ে দিলেন। কী বলে যে ওঁদের ধন্যবাদ দেব। তবে, যারা স্বামীর এই অবস্থা করছে, তাদের শাস্তি চাই।
এদিন পালিতপুরের ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়েও তৃণমূলের (Trinamool) জেলা সভাপতি উষ্মাপ্রকাশ করেন। স্থানীয় নেতৃত্বও মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করে বলে, মোট ২৪ জনের নামে অভিযোগ করা হলেও মাত্র ১৩ জনকে পুলিস ধরেছে। যাদের নেতৃত্বে ওখানে হামলা হল, তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভোটের প্রচারেও বিজেপি প্রার্থীদের সঙ্গে তাদের দেখা যাচ্ছে। অথচ পুলিস কোনও গ্রেপ্তার করছে না।
নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে তৃণমূল কড়া অবস্থান নিতে চলেছে। পা