নন্দীগ্রামকে প্রণাম করতেই সব বাদ দিয়ে এখানে পড়ে রয়েছি, বিরুলিয়ায় মমতা
পয়লা এপ্রিল নন্দীগ্রামে নির্বাচন, সেখানে প্রার্থী মমতা। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় প্রচারের ঝড় তুলেছেন মমতা। ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তাঁর জনসভায় দেখা যায় জনপ্লাবন।
আজ নন্দীগ্রাম বিধানসভায় মমতার ঠাসা কর্মসূচি। একটা বার্তা নিয়েই মানুষের দরবারে পৌঁছে যাচ্ছেন মমতা – ভাঙা পায়েই খেলা হবে।
লাইভ আপডেট
৭:৩৪: আমি ১ বছরের জন্য রেয়াপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছি। সেখানে ২ টো ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছি। ১ তারিখে ভোট করে তার পর শিলিগুড়ি যাব। আমি নন্দীগ্রামের ভূমিকন্যার নামে একটা বাড়ি করব। আপনাদের সকলের জন্য এটা রেখে যাব।
৭:৩২: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।
৭:৩০: কৃষকেরা মনে রাখবেন, বছরে ৪ বার দুয়ারে সরকার শিবির হবে। তাতে সব কার্ড পাবেন। মাসে মাসে সব মায়েদের ৫০০ টাকা করে করে হাতখরচা দেব। তফসিলি আদিবাসীদের ১ হাজার করে পাবেন। আগামীদিনে বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেব। তৃণমূলকে একটা ভোট, বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছবে রেশন।
৭:২৮: নিশ্চিন্ত থাকুন নন্দীগ্রামকে আমরা সাজিয়ে দেব। ভবানীপুরে দেখেছেন তো, সেরকম করে দেব।
৭:২৪: ওদের এক নেতা বলেন, ৩০টার মধ্যে ২৬টা আসন পাব। আমি বলি, তুমি কি ভোটের মেশিনে ঢুকে বসে আছ? ম্যাচ হেরে গেছ।
৭:২২: কালীঘাটের মতো এখানেও CMO অফিস করে দেব। কাঁথীতেও বহিরাগত গুন্ডারা ধরা পরেছেন, লক্ষ্য রাখবেন পুলিশের ড্রেস পড়ে বিজেপির ক্যাডাররা ঘুরছে, এখানে একটা ITI-তে আছে।
৭:২০: এরপর আমাকে কেউ যদি বলে আমি বহিরাগত আর ওরা ভূমিপুত্র? ১৫ দিন বাড়ি থেকে ভয়ে বেরোয় নি। আমি নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছি কারণ আপনারা সহযোগিতা করেছেন বলে। ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলবোনাকো নন্দীগ্রাম। ২৮ থেকে ১ তারিখ আমি এখানে থাকবো, আমি নন্দীগ্রামের মাটিকে প্রণাম আর সালাম জানাই। নন্দীগ্রাম থেকে জিতে আমি কৃষক আন্দোলনের ওখানে যাব।
৭:১৯: সেদিন কালীপুজো ছিল, অপারেশন সূর্যোদয়ের পর, ১০ই নভেম্বর। আমার বাড়িতে কালীপুজোয় যেতে পারিনি। সেদিন লোকগুলো তুলে মেরে হলদি নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিল হার্মাদদের দল। আমাকে ঢুকতে দেয়নি।
৭:১৮: তারপর আমি আবার মিটিং করছি এখানে, নচিকেতা, কবীর সুমন, মেধা পাটেকররা এসেছিল, বাবু রাগ করে নেমে চলে গেল। কোন একজনকে সেন্ট্রালে মন্ত্রী করেছিলাম, বাবাকে মন্ত্রী করেছি বলে সে গেল না শপথ গ্রহণে।
৭:১৭: সেদিন ওরা তেখালিতে গুলি চালিয়েছিল। বড় বড় ইট ছুঁড়ছিল। সেদিন বাপ-ব্যাটা কোথায় ছিল? কেউ বেরোয়নি। আমি কলকাতায় গিয়ে কল্যাণকে দিয়ে মামলা করাই। সেই সিবিআই কিছু করেনি, আমাদের পিছনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
৭:১৬: তখন আনিসুরের বাইকে করে গ্রামের মধ্যে দিয়ে আমি তমলুকে পৌঁছালাম। সেখানে মৃতদেহ পরেছিল। তখন চিত্ত মাইতি আর শিখা মাইতি আমার থাকার ব্যবস্থা করে দিল। পরের দিন চন্ডিপুরে ১২ ঘণ্টা আটকে ছিলাম। কিন্তু তারপর নন্দীগ্রাম হসপিটালে পৌঁছালাম, আমার গাড়িতে টিয়ারগ্যাস ছোঁড়া হয়েছিল।
৭:১৫: তারপরেই, নন্দীগ্রামে মিছিল হল। ১৪ ই মার্চ যেদিন গুলি চলল, তার আগে অনশনের পর আমার অপারেশন হবে, তাও আমি ছুটে এলাম। কোলাঘাটের কাছে রাজ্যপাল গোপাল গান্ধী ফোন করে সাবধান করল, আমার গাড়িতে পেট্রোল বোমা মারা হবে।
৭:১৪: নন্দীগ্রামের সেদিন পুলিশ ঢুকবে, মার্চ করবে, এগুলো কি সেই গদ্দাররা জানতেন না? নন্দীগ্রামের আগে সিঙ্গুর। আমাকে তখন বিডিও অফিসে মেরেছিল পঞ্চমীর দিন। আমি গিয়েছিলাম ইসলামপুরের একটা উপনির্বাচনে, যেখানেই যাচ্ছি পুলিশ আটকাচ্ছে, সেদিন পুলিশ আমাকে আটকে মেরেছিল, সেদিন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমরণ অনশন করব, যতক্ষণ না জমি অধিগ্রহণ বন্ধ হবে। তারপর ওরা কৃষক পরিবারের মেয়ে তাপসী মালিককে খুন করে ধর্ষণ করে।
৭:১৩: নন্দীগ্রাম কে ঘিরে আমাদের ইতিহাস আছে। তখন মেদিনীপুর একটাই জেলা। আমি তখন বেলপাহাড়ি থেকে ২২ হাজার কিমি Rally করেছিলাম সেটা ১৯৯৩ সাল। এখানে একটা বাচ্চা মেয়ে আমার জন্য পিঠে নিয়ে এসেছিল, আমি সারাদিন খাইনি। সেই মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ হলে খুশি হব।
৭:১২: আমি বিরুলিয়ায় আস্তে আস্তে দেখলাম রাস্তা খুব খারাপ, এতদিন বিধায়ক ছিল, মন্ত্রী হয়েছে নন্দীগ্রামকে দেখিয়ে, আর নন্দীগ্রামের কাজ করবেনা, এবার আমি সব করে দেবো।
৭:১১: আমি ভবানীপুরে দাঁড়াতে পারতাম, এখানে জিজ্ঞেস করলাম, এখানে দাঁড়াবো? ওরা বলল হ্যাঁ।
৭:১০: আমি পিজিতে যাই, আমাকে দেখে চিকিৎসকরা বলেন ১৫ দিন পর্যন্ত যাবেন না। কিন্তু আমি না বেরোলে হবে না। ওরা বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে আসছে। পুলিশের ড্রেস নিয়ে আসছে। মনে আছে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সময় ওরা পুলিশের ড্রেস পড়ে এসেছিল, কিন্তু পায়ে হাওয়াই চটি।
৭:০৯: ওরা বলছে, গাড়িতে পিলারে ধাক্কা লেগেছে। সব মিথ্যে কথা। গাড়িটা আমি থামিয়েছি। আমি স্ট্যান্ডের ওপর দাঁড়িয়ে সবাইকে নমস্কার করছিলাম। আপনারা দেখেছেন, তখনই আমাকে ৪-৫ জন ধাক্কা দেয়।
৭:০৮: আমি আজ খুব খুশি বিরুলিয়ায় আসতে পেরে। আমার পায়ে চোট-টা হয়েছিল। এখানেরই একটা মোড়ে। সেদিন একটা ছেলে আমাকে একটা বরফের চাকা দেয়। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।