মায়ানমারের হত্যালীলা, গর্জে উঠলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি
রক্তে ভাসছে মায়ানমার (Mayanmar)। রাস্তায় হত্যালীলা চালাচ্ছে সে দেশের সেনা। এবার গণতন্ত্রের দাবিতে রাস্তায় নামলেই সরাসরি মাথায় গুলির হুঁশিয়ারি দিয়েছে জুন্টা (Junta)। গোটা বিশ্ব গর্জে উঠেছে এই নারকীয় আচরণের বিরুদ্ধে। এবার সরাসরি মায়ানমার সেনার নিন্দা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বললেন, ভয়ানক ঘটনা। অত্যন্ত আপত্তিজনক। বিনা কারণে এত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। ইতিপূর্বে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-সহ ১২টি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই ঘটনার নিন্দা করেছিলেন। এবার সেই তালিকায় যোগ হল আমেরিকার রাষ্ট্রপতির নাম।
উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই দেশের শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় মায়ানমার সেনা। পালটা ক্যু বা সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে পথে নামে দেশের আমজনতা। কোথাও তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তো কোথাও আবার শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছে। রাজধানী নাইপিদাও থেকে শুরু করে ইয়াঙ্গন পর্যন্ত প্রায় সমস্ত বড় শহরে রাস্তায় সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে সরব হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। আর সেই সমস্ত গণতন্ত্রকামী মানুষজনকেই টার্গেট করছে জুন্টা। এলোপাথাড়ি গুলিতে হত্যা করা হচ্ছে তাঁদের।
ইতিপূর্বে আমেরিকা, জাপান, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া-সহ বারোটি দেশের তরফে পেশ করা বিবৃতিতে জুন্টার এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা করে বলা হয়েছে, “যে কোনও পেশাদার সেনাবাহিনী সব সময় আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে কাজ করে। মানুষকে রক্ষা করাই তাদের কাজ। ক্ষতি করা নয়। আমরা মায়ানমারের সেনার কাছে আরজি জানাচ্ছি হিংসা থেকে বিরত হয়ে দেশের মানুষদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করার।”
এদিকে শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ থাইল্যান্ড সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় আচমকাই এয়ারস্ট্রাইক করে মায়ানমার সেনা। অতর্কিত হামলায় এলাকা ছেড়ে পালান গ্রামবাসীরা। কারেন পিস সাপোর্ট নেটওয়ার্কের তরফে জানানো হয়েছে, প্রান্তিক এলাকায় হামলা চালানোয় যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। মায়ানমার সেনার তরফে অবশ্য এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মায়ানমার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টে। বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।