‘গদ্দারদের ক্ষমা নয়’ নন্দীগ্রামে প্রচারের শেষে মমতার রণহুঙ্কার
দ্বিতীয় দফার ভোট প্রচার শেষ লগ্নে। পয়লা এপ্রিল ভোট ৩০টি কেন্দ্রে। তার মধ্যে অন্যতম নন্দীগ্রাম। সংগ্রামের এই মাটিতে এবার প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারের শেষদিনে নন্দীগ্রামে একাধিক কর্মসূচি মমতার। ভাঙাবেড়ায় শহিদ বেদি থেকে সোনাচূড়া বাজার পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন তৃণমূলনেত্রী। এছাড়াও, সোনাচূড়া, বাঁশুলি চক লক গেট এবং টেঙ্গুয়া মোড়ে জনসভা করবেন তিনি।
লাইভ আপডেট
৪:৫৬: আমরা শান্তি চাই। কিন্তু কেউ যদি ভোট লুঠ করতে আসে, হাতা খুন্তি নিয়ে তেড়ে যাবেন। বহিরাগত গুন্ডাদের থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হবে।
৪:৫৩: আমরা নন্দীগ্রামকে মডেল নন্দীগ্রাম করে দেব। পয়লা এপ্রিল বিজেপিকে বোকা বানিয়ে দেবেন।
৪:৪৯: বলছে ওরা নাকি ৩০ এর মধ্যে ২৬ টা আসন পাবে। বল না ৩০শে ৩০ পাবো। আমরা ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই করা মানুষ। লড়তে হবে। যত হামলা করো সব সামলে নেব। খেলা হবে। ভোট শুরু সকাল থেকে। বাংলা বাঁচাতে চান, নন্দীগ্রাম বাঁচাতে চান তো খেলতে হবে। কৃষকদের আন্দোলন চলছে দিল্লিতে। ওদের না হারালে কিন্তু জমি কেড়ে নেবে।
৪:৪৮: আমি টেঙ্গুয়া মোড় আসছিলাম। ওরা আমার গাড়ি আটকে ওদের পতাকা হাতে স্লোগান দিচ্ছে। আমিও ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল ছিলাম। তোরা সিতার নাম নিস না কেন? রামচন্দ্র মা দুর্গার পূজা করেছিলেন। তোরা মা দূর্গাকে গালি দিস?
৪:৪৫: অতিমারির সময় আমি ঘুরে ঘুরে রাস্তায় রাস্তায় গিয়ে গিয়ে মানুষের খোঁজ নিয়েছি, সব শ্রেণীর, সব ধর্মের মানুষের খেয়াল রেখেছি। তোমরা ঘরে বসেছিলে। এরা আজ আছে কাল নেই।
৪:৪৪: আমার রক্তের রং লাল। তোমার রক্তের রং লাল। এই নিয়ে রাজনীতি করতে হবে?
৪:৪৩: নন্দীগ্রামে যখন আন্দোলন হয়েছিল, সারা বিশ্ব অবাক হয়ে গিয়েছিল। হিন্দু মেয়েরা শঙ্খধ্বনি দিচ্ছে, তুলসীতলায় প্রদীপ দিচ্ছে, আমার সংখ্যালঘুরা আজান দিচ্ছে। কি মিলন!
৪:৪০: আমি আগে ২৫-৩০ কিমি হাঁটতাম রোজ, কিন্তু এখন পারছি না। ভালো হয়ে গেলে আবার করব। আমার কাছে মানুষের কোন ভেদাভেদ নেই।
৫:৩৯: কথার দাম আমি কখনো খেলাপ করি না। আমার বিশ্বাসযোগ্যতায় আমার প্রতিশ্রুতি। আমার পরিবার মানুষের পরিবার। পুজো দিতে গিয়ে আমি সব সময় বলি আমার গোত্র মা-মাটি-মানুষ।
৪:৩৭: বাংলার ২৯৪ আসনের মধ্যে যে কোন আসনে আমি দাঁড়াতে পারতাম। কেন দাঁড়ায় নি? কেন আমি এখানে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলাম? ভবানীপুরের মানুষ খুব দুঃখ পেয়েছে। আমি তাদের বললাম, তোমরা তো বারবার আমায় ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছ। আমাকে একবার গ্রাম বাংলার মানুষকে ভালবাসার সুযোগ দাও।
৪:৩৪: আমি নন্দীগ্রাম থেকে নিজের প্রার্থীপদ ঘোষণা করার আগেই সে কিন্তু বিধায়ক হিসাবে পদত্যাগ করেছিলো। আমার কথা শুনে ওদের কি উত্তাল রিয়্যাকশন।
৪:৩২: আজকে নয়, আমি আগে নির্বাচনেও বলেছিলাম, আমি নন্দীগ্রাম বা সিঙ্গুর থেকে লড়তে চাই। ওদের জন্য আমি এত আন্দোলন করেছি, অনশন করেছি। আমি ৫ বছর আগেই সিঙ্গুর থেকে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য আসন ছাড়তে চান নি।
৪:২৯: আমার একটা কথোপকথন ভাইরাল হয়েছে। আমার কাছে খবর এসেছিল কেউ কেউ কথা বলতে চায়। সে কল রেকর্ড করে ভাইরাল করে দিয়েছে। আমিতো বলেছিলাম ভালো থেকো। আর প্রার্থী হিসাবে আমিতো মানুষের কাছে আবেদন করতেই পারি। এরকম কোন আমি অনেক করব। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে মানুষকে তথ্য দেওয়া আমার দায়িত্ব। কিন্তু সেটা রেকর্ড করে ভাইরাল করা কিন্তু বেআইনি। অপরাধ।
৪:২৮: যারা দল ছেড়ে গেছে তৃণমূল তাদের ফেরত নেবে না। যারা টিকিট না পেয়ে টাকা নিয়ে বিজেপিতে চলে গেছে, তারা অনেকেই এসে লাইন দিয়েছে। আগে নির্বাচন হোক, দেখি কে কাজ করছে, তারপর ভেবে দেখব। কিন্তু গদ্দারদের ক্ষমা করব না।
৪:২৭: অমিত বাবু আপনি খেলাটা ভুল খেললেন। নিজের লোকদের সাথে প্রতারণা করলেন। সিপিএমের হার্মাদের টিকিট দিলেন। নিজের লোকদের ভুলে গেলেন।
৪:২৫: কেউ ক্ষমা পায় না। সবার বিচার হয়। এত লোক যে নিজের দোষে গেছে। বিজেপি নিজের লোকদের টিকিট দেয়নি। আমরা সব তৃণমূলের লোকেদের টিকিট দিয়েছি। ওরা টিকিট দিল কাকে? সিপিএমের হার্মাদ, তৃণমূলের গদ্দার। এদের নিয়ে গিয়ে টিকিট দিয়েছে। ওদের পার্টিটাই ধার করা। নির্বাচনের পর দলটা থাকবে তো? অরিজিন্যাল লোক হলে থাকবে।
৪:২৩: নন্দীগ্রামে আমরা মাল্টি সুপার হসপিটাল, ITI, কলেজ- সব করে দিয়েছি। কিন্তু জানবো কি করে, কাজ করে দিলাম আমি, টাকা খেলো অন্য কেউ? আমি অন্ধ স্নেহ দিয়েছি বুঝেছি। নিজেই বলে দিয়েছে ২০১৪ থেকে বিজেপির সাথে যোগাযোগ। ভাগ্যিস নির্বাচনের আগে মীরজাফর চলে গেছে। ওদের প্ল্যান ছিল আমরা সরকার করবো আর ওরা ৪০ জন এমএলএ কিনে নিয়ে সরকার ভেঙে দেবে।
৪:২২: আমি জানতাম না নন্দীগ্রামকে এইভাবে ক্ষতবিক্ষত করে গেছে এই গদ্দাররা। আমি দেখছি, বিরুলিয়ায় রাস্তায় গর্ত। আমাকে বলল তো আমি করে দিতাম। নন্দীগ্রামের মানুষ কিছু চাইবে আমি দেব না, এটা আমার মানসিকতা নয়।
৪:২০: একবার ভেবেছিলাম আমি হয়তো প্রচার করতেই পারব না। আমি যেহেতু নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছি, ভাবলাম অনেকে হয়তো নন্দীগ্রামের মানুষকে দোষ দিতে পারে। আমার বিশ্বাস এখানকার মানুষের দোষ নেই। কোন বহিরাগত গুন্ডাকে দিয়ে এই ঘটনা করা হয়েছে। আমার মা বোনেদেরতো দুটো পা আছে। তাদের ভরসাতেই আমি বেরিয়ে পড়লাম। বিজেপি নাকি বলছে আমি নাটক করছি। মানুষকে মেরে তাদের নিয়ে রাজনীতি করবেন না।
৪:১৯: আমাকে এর আগেও আঘাত করা হয়েছিল। অনেকবার আক্রান্ত হয়েছি। কি করে বেঁচে আছি ভগবান জানেন। আমি সব সময় আমার কাছে একটা ওষুধের বাক্স রাখি। আমি গাড়িতে কিছুটা ওষুধ খেয়ে নিয়েছিলাম। এর পর ডাক্তাররা চিকিৎসা করেন। পরশুদিন আমায় আবার ক্লিন করে প্লাস্টার করতে হয়েছে। শিরা গুলো কেটে গেছে। গোড়ালি থেঁতলে গেছে। যাতে ইনফেকশন না হয়, তাই ক্লিন করতে হয়।
৪:১৮: আমি ৯-১০ তারিখ অনেকটা জায়গায় ঘুরেছিলাম নন্দীগ্রামে। সেদিন বিরুলিয়াতে ঘটনা ঘটে। তারপর আমাকে হসপিটাল চলে যেতে হয়। আমার পা-টা চেপে যাওয়ার পর ফুলে যায়। এক মিষ্টির দোকানের মালিক আমায় একটা প্লাস্টিক দেয়। সেটা জড়িয়ে কিছুটা আরাম হয়। কিন্তু বুকে, মাথায় যন্ত্রনা হচ্ছিল।
৪:১৬: আমি কাল হুগলি, সিঙ্গুর, উলুবেড়িয়ায় প্রচার করে কাল ফিরে আসবো নন্দীগ্রামে। আমি ভোট শেষ হওয়া অব্দি এখানে থাকবো। এর পর আমি আবার উত্তরবঙ্গ যাব। আলিপুরদুয়ার কোচবিহারের প্রচার করে আবার হুগলি ফিরে আসবো। এখনো প্রায় একমাস প্রচার চলবে। কিন্তু নন্দীগ্রামকে আমি বেশি সময় দিলাম। এটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
৪:১৫: আমার নন্দীগ্রামের প্রচারের শেষ জনসভা আজ টেঙ্গুয়াতে। আমি ৮ তারিখ থেকে টানা প্রচার করছি। আজ ২৩ দিন টানা প্রচার করছি। মাঝে ৭২ ঘন্টা বাদ গেছে পায়ের চোটের জন্য।
৪:১২: শেষ মিটিং আমি ভেবেছিলাম করব টেঙ্গুয়া মোড়ে। ওরা গায়ের জোরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমরা তো অঞ্চলে অঞ্চলে যাচ্ছিলাম। তোর লোক নেই তো বাইরে থেকে নিয়ে আয়? তাইতো করেছিস সকাল বেলায়। ৭৫% তোর শুধু বাহিনী- BSF, CRPF, পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। লোক নেই বলে অন্যের মিটিংয়ে বাধা দেওয়া ঠিক নয়।
৩:২২: এখনও অনেক মানুষ আছেন। সব গাড়িগুলো ঢুকুক। আমি তার পর বলব। ততক্ষণ কবীর সুমনের গান চালিয়ে দাও।
৩:২০: রোড শো করার নামে আমাদের গাড়িগুলো আটকে দিয়েছ। চিরকাল ছ্যাঁচরামো করার স্বভাব। প্রশাসনকে বলব আমাদের গাড়িগুলো ছেড়ে দিতে। আমাদের অনুমতি নেওয়া ছিল। আমরা ওদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছি সৌজন্যে দেখিয়ে, কিন্তু গাড়ি আটকানো সহ্য করব না।