গল ব্লাডার অপারেশনের পর স্থিতিশীল শরদ পাওয়ার
অস্ত্রোপচার হয়ে গেল এনসিপি (NCP Chief Sharad Pawar) প্রধান শরদ পাওয়ারের৷ মঙ্গলবার রাতে তাঁর গল ব্লাডার থেকে পাথর সরানো হয়৷ শরদ পাওয়ারের অবস্থা স্থিতিশীল, তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপ৷
রবিবার সন্ধেবেলা পেটে ব্যথা অনুভব করায় তাঁকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ বুধবার অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল তাঁর৷ তবে মঙ্গলবার রাতে তাঁর এন্ডোস্কোপি হয়৷ এবং চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন৷ পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, চিকিৎসক যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে শেষ কথা৷ তাই বুধবার অস্ত্রোপচারের কথা থাকলেও এন্ডোস্কোপির পর কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি চিকিৎসক৷ ৮০ বছর বয়সি শরদের শরীরে বেশ কিছু জটিলতা আগে থেকেই রয়েছে৷ তাই কোনও ভাবে তা আর বাড়াতে চাননি চিকিৎসকরা৷ তাই মঙ্গলবার রাতেই হয় অস্ত্রোপচার৷
বেশ কয়েকটি পরীক্ষার পর আমরা ঠিক করে ফেলি শরদ পাওয়ারের অস্ত্রোপচারের জন্য৷ কারণ শারীরিরভাবে কিছু জটিলতা ছিল তাঁর৷ আপাতত সব ঠিক করে হয়ে গিয়েছে৷ গল ব্লাডার থেকে পাথর সরানো হয়ে গিয়েছে৷ এখন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে৷ পরবর্তীতে তাঁর গল ব্লাডারটি পুরোপুরি বাদ দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হবে, জানিয়েছেন চিকিৎসক অমিত মায়দেও৷
এনসিবি দলনেতা শরদ পাওয়ার রবিবার সন্ধেবেলা পেটে অস্বস্তি অনুভব করেন৷ তড়িঘড়ি তাঁকে ব্রিচক্যান্ডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে প্রথমিক চিকিৎসার পর জানা যায় তাঁর গলব্লাডারে সমস্যা রয়েছে৷ ট্যুইটে এই খবরটি জানান নওয়াব মালিক৷ বুধবার তাঁর অস্ত্রোপচার হবে বলে প্রথমিকভাবে স্থির হয়৷ আপাতত তাঁর সব রাজনৈতিক কর্মসূচী বাতিল হয়েছে৷
শরীরের সঠিকভাবে রক্ত চলাচল করা এবং রক্ত জমাট না বাঁধার জন্য (Blood Thinning Medication) নিয়মিত ওষুধ খেতে হয় শরদ পাওয়ারকে৷ তবে এখন এই সংক্রান্ত সব ওষুধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি বন্ধ থাকবে তাঁর৷ ৩১ মার্চ ২০২১ তাঁকে হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা হবে৷ এন্ডোস্কপি হবে, তারপর অস্ত্রোপচার হবে৷ তাঁর পরবর্তী সব কর্মসূচী আপাতত বাতিল করা হয়েছে৷ সোমবার ট্যুইটে জানিয়েছিলেন নবাব মালিক৷
এনসিপি নেতা ও মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপ বলেন যে, শরদ পাওয়ারের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনও চিন্তা নেই৷ তিনি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন৷ তবে অস্ত্রোপচার হওয়ার ফলে, তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা৷