নন্দীগ্রামে অশান্তি, আদালতে যাওয়ার হুমকি মমতার
ছাপ্পাভোটের অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি নন্দীগ্রামের বয়ালে। সেখানে ৭ নম্বর বুথে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতির তদারকি করছেন তিনি। মমতার অভিযোগ, বাইরে থেকে লোক এনে ভোট করাচ্ছে বিজেপি। যাদের আনা হয়েছে, তাঁরা কেউ বাংলা জানেন না। বয়ালের ওই বুধে বিজেপি অবাধে ছাপ্পা ভোট করেছে বলে তৃণমূল নেত্র্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মমতা বলেন, ‘‘আদালতে যাব আমরা। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ৬৩টা অভিযোগ পেয়েছি।’’ বয়ালের বুথে বসেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করে পরিস্থিতি জানান মমতা।
দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বয়াল, গোকুলনগর, সোনাচূড়-সহ একাধিক এলাকা থেকে নানা অভিযোগ সামনে আসছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, সেখানকার বুথে তৃণমূল এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। এক জন এজেন্ট গেলেও তাঁকে মেরে তাড়িয়ে দেন বিজেপি কর্মীরা। ছিঁড়ে দেওয়া হয় তাঁর কাগজ। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বাহিনীও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বয়ালের ওই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায় বিজেপি অবাধে ছাপ্পা ভোট করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বিষয়টি নিয়ে মমতার কাছে অভিযোগও জানান তাঁরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে, মারধর করছে বলে জানান। মমতার কাছে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান সকলেই।
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বয়াল মাস্তুল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই বুথে ঢোকেন মমতা। তিনি সেখানে পৌঁছতেই তাঁকে দেখে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজে-র কর্মী-সমর্থকরা। তাতে পরিস্থিতি আরও তেতে ওঠে। সরাসরি সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পরস্পরের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। শুরু হয় এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টিও। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসে রাজ্য পুলিশ এবং র্যাফ। দুই শিবিরকে আলাদা করে দেয় তারা। কিন্তু বুথের বাইরের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায়, বুথের ভিতরই আটকে পড়েন মমতা। তাঁকে অন্য রাস্তা দিয়ে বার করিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয় কিন্তু যথেষ্ট সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না থাকায় তা হয়ে ওঠেনি। বাধ্য হয়ে পুলিশের তরফে মানবশৃঙ্খল গড়ে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়।