এবার পায়ে হেঁটে সংসদ অভিযানের পরিকল্পনা কৃষকদের
কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের(FarmBill2020) বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা(Farmers)। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে, এই দাবিতে অনড় তাঁরা। দিল্লির সীমান্তে আন্দোলন চালাচ্ছেন তাঁরা। আগামী দিনে এই আন্দোলন নিয়ে তাঁদের কী পরিকল্পনা জানালেন কৃষকরা। সংযুক্ত কিসান মোর্চা বুধবার জানিয়েছে, কৃষকরা মে মাসেই পায়ে হেঁটে সংসদ অভিযান করবেন।
তবে ঠিক মে মাসের কত তারিখে তাঁরা সংসদ পর্যন্ত এই আন্দোলন নিয়ে যাবেন তা এখনও সিদ্ধান্ত নেননি। কৃষক নেতা গুরনাম লিং চাদুনি বলছেন, “শুধু কৃষকরাই এই মিছিলে অংশ নেবেন না। থাকবেন মহিলা, বেকার যুবক-যুবতী এবং শ্রমিক যারা এই আন্দোনকে সমর্থন করে আসছেন।”
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন এই সংসদ অভিযানে মিছিলে শান্তি বজায় রাখা হবে। ২৬ জানুয়ারি যা হয়েছিল, তার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় এই দিন, সেগিকেও নজর দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। সংসদ অভিযানে যদি পুলিশ আন্দোলনকারীদের বাধা দেয় তাহলে সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়াপর জন্যও একটি কমিটি গঠন করা হতে পারে জানিয়েছেন কৃষক নেতা। পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে তখন কী করণীয় সেই ব্যাপারেই এই কমিটির দ্বারা আন্দোলনকারীদের অবগত করা হবে।
আর একজন কৃষক নেতা বলছেন, “সংযুক্ত কিসান মোর্চা দেখিয়ে দেবে যে তারা সব রকমের হিংসাকে নিন্দা করে। আন্দোলনকারীরা জানবেন যে তাদের দ্বারা যদি কোনও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয় তাহলে সেই ক্ষতিপূরণও তাদেরই দিতে হবে।” কৃষক নেতা আরো জানাচ্ছেন , আগামী ১০ এপ্রিল তাঁরা কুন্ডলী-মানেসার-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়ে ২৪ ঘণ্টার জন্য অবরোধ করবেন।
কৃষক নেতা বলছেন, “আমরা ১০ এপ্রিল কেএমপি এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করব ২৪ ঘণার জন্য। অর্থাৎ ১০ তারিখ সকাল ১১টা থেকে শুরু করে পরের দিন ১১টা পর্যন্ত। সরকার আমাদের কথা শুনছে না। তাই এই আন্দোলন করব আমরা। সরকার ঘুমোচ্ছে। এটা তাদের জাগানোর জন্য।”
এছাড়াও এই আন্দোলন চলাকালীন যে কৃষকদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে আগামী ৬ মে একটি অনুষ্ঠান করবেন বলেও স্থির করেছেন কৃষকরা। এক কৃষক নেতা বলছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি এনে এই সীমান্তে ফেলে একটি স্মৃতিশৌধ তৈরি করা হবে। এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে আমাদের যে ভাইদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতেই অনুষ্ঠান হবে।