← স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান
গরমে হতে পারে ফুড পয়জনিং – সাবধানে থাকুন
যদি কোনো খাবার খেয়ে বারবার বমি, পাতলা পায়খানা, জ্বর, পেটব্যথা শুরু হয়, তাহলে বুঝতে হবে ‘ফুড পয়জনিং’ হয়েছে। এ সময় অনেকই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অস্বাস্থ্যকর খাবার, জীবাণুযুক্ত খাবার, ময়লাযুক্ত থালাবাসনে খাবার খেলে এগুলো থেকে ফুড পয়জনিং হতে পারে।
যত্রতত্র, রাস্তাঘাটের খোলা খাবার, বাসি-পচা খাবার খেলে সাধারণত কেউ ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত হয়। যদি সময়মত এর চিকিৎসা করা না হয়, তবে এ থেকে শরীরে জলের ঘাটতি হতে পারে। কিডনি অকেজো হয়ে পড়তে পারে। শরীরের যেকোনো অঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় এটি মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কারণ কী
- সাধারণত বাসি-পচা, অস্বাস্থ্যকর ও জীবাণুযুক্ত খাবার এবং অনেকক্ষণ গরমে থাকার ফলে নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- খাবারের জন্য ব্যবহৃত থালাবাটি ভালোভাবে না ধোয়ার ফলে এ সমস্যা হতে পারে।
- খাওয়ার আগে হাত ভালো করে না ধুলেও এই সমস্যা হতে পারে।
- গরম বা অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরের ভেতরে জলের চাহিদা বেড়ে যায়। এ জন্য অনেকেই রাস্তার তৈরি শরবত খেয়ে ফেলে। এ থেকে ফুড পয়জনিং হতে পারে। কেননা, রাস্তাঘাটের খাবার বেশির ভাগ সময় পরিষ্কার থাকে না।
- গরমে ঘরের খাবারও যদি অনেকক্ষণ ধরে বাইরে রাখা থাকে, তাহলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ থেকেও ফুড পয়জনিং হতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়
- রাস্তার খোলা খাবার খাবেন না।
- বেশি পিপাসা পেলে ডাব খেতে পারেন।
- জল ফুটিয়ে খেতে হবে।
- বাসন-কোসন ভালোভাবে ধুতে হবে।
- খাওয়ার আগে হাত ভালো করে ধুতে হবে।
- দুধ, কলা, ফলমূল বেশি দিন পুরোনো হয়ে গেলে খাবেন না।
- গরমের সময় হোটেলের খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
- যতটা সম্ভব টাটকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- খাবার ঠিকমতো ঢেকে রাখুন, নয়তো বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ খাবারে বসে জীবাণু ছড়াতে পারে।
চিকিৎসা
- আক্রান্ত হলে ডাবের জল, স্যালাইন, শরবত ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
- অবস্থা বেশি খারাপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- অবস্থা যদি খুব জটিল হয়, তবে চিকিৎসকরা শিরার মাধ্যমে স্যালাইন দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন।
- কিছু রোগীর বেলায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ফুড পয়জনিং রোধে নিজের সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি জরুরি।