বিজেপির বহিরাগত গুণ্ডাদের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে দেবেন না: রায়দিঘিতে মমতা
উত্তরবঙ্গের ঝটিকা সফরের পর আজ দক্ষিণবঙ্গে প্রচারের ঝড় তুলতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়া, হুগলী এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একাধিক কর্মসসূহ আজ তাঁর। রায়দিঘি, কুলপি, ক্যানিং পশ্চিম এবং তারকেশ্বর বিধানসভায় জনসভার পাশাপাশি, আজ হাওড়ায় রোড শো করবেন তৃণমূল নেত্রী। উজ্জীবিত কর্মীরাও।
লাইভ আপডেট
১১:৫৩: ৬ ই এপ্রিল আসছে দিন, বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে কবর দিন। আমি আছি আপনাদের পাহারাদার। আপনাদের সব কাজ করে যাব।
১১:৫২: এজেন্টরা EVM মেশিন পরীক্ষা করে নেবেন। VVPAT মিলিয়ে নেবেন। মেশিন খারাপ হয়ে গেলে চলে যাবেন না। ভোট দিয়ে তারপর যাবেন। একমাস ভোটবাক্স পাহারা দিতে হবে। কাউন্টিং-এর দিন কারো দেওয়া খাবার খাবেন না।
১১:৫১: কোটি কোটি টাকা দিয়ে বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসেছে, সব হোটেল, গেস্ট হাউস বুক। ওরা টাকা দিলে জিজ্ঞাসা করবেন, ১৫ লক্ষ টাকা কোথায়? দাঙ্গা লাগাতে দেবেন না, এটা আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে।
১১:৪৮: মা-বোনেরা বেঁধে জোট, জোড়া ফুলে সব ভোট। শ্রমিক কৃষক বেঁধে জোট, জোড়া ফুলে সব ভোট, ছাত্র-যুব বেঁধে জোট, জোড়া ফুলে সব ভোট। জয় হিন্দ। জয় বাংলা। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
১১:৪৬: নন্দীগ্রামে আমার ভোট হয়ে গেছে। আমার প্রত্যেকটা কর্মীর বাড়ি গিয়ে ওরা হুমকি দিয়েছে। কিন্তু মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে। তাইতো বলি, খেলা হবে। ৬ই এপ্রিল তৃণমূলকে ভোট দেবেন। বিজেপি হলো ছদ্মবেশী পচা ফুল। বিজেপিকে বোল্ড আউট করবেন। ভোটের দিন রাজনীতির খেলা খেলুন। বিজেপি চাই না।
১১:৪৫: অসমে ওরা ১৪ লক্ষ বাঙালি মানুষের নাম বাদ দিয়ে দিয়েছে, বিহারীদের নাম বাদ দিয়েছে, সংখ্যালঘুদের নাম বাদ দিয়েছে। ওদের মতো স্বৈরাচারী, দুরাচারী কেউ নেই।
১১:৪৩: বাংলাকে যারা নষ্ট করতে আসবে, দখল করতে আসবে, বহিরাগত গুন্ডা দিয়ে তাদের দখল করতে দেবেন না। আমরাও বাংলার সন্তান।
১১:৪২: আমার একটা পায়ের চোট লাগা সত্ত্বেও আমি প্রচারে বেরিয়েছি কেন জানেন? আমি না বেরোলে বিজেপি মিথ্যা কথা বলে মানুষকে ভুল বোঝাবে। আমার মা বোনেদের দুটো পা আছে, আমি সেটার দিকে চেয়েই বেরিয়ে পড়েছি।
১১:৩৯: ওরা একদিন দাঙ্গা লাগিয়ে, গ্রামে আগুন ধরিয়ে ভোট নিয়ে চলে যাবে। কিন্তু বারো মাস তো আপনাদেরই একসাথে থাকতে হবে। বিজেপিকে ফায়দা তুলতে দেবেন না। আমরা বলি হরে কৃষ্ণ হরি হরি, সবার আমরা ভালো করি। বিজেপি বলে হরে কৃষ্ণ হরি হরি, গ্যাসের দাম ৯০০ করি, মা-বোনেদের অত্যাচার করি। হরে কৃষ্ণ হরি হরি, গ্রামে গ্রামে ডাকাতি করি।
১১:৩৮: আমরা কোন দাঙ্গা করতে দিইনি। আমরা দশ বছরে যা কাজ করেছি, অন্য কোনও সরকার পারবেনা। তাইতো বলি, খেলা হবে। ওরা গুন্ডামি করতে এলে, হাতা খুন্তি নিয়ে মা-বোনেরা বেরিয়ে আসবেন। কোন সাম্প্রদায়িক গন্ডগোলে যাবেন না। আমাদের সংস্কৃতি হিন্দু-মুসলমান একে অপরের বাড়িতে চা খায়, সব উৎসব একসাথে পালন করি।
১১:৩৬: আগামীদিন শান্তিতে থাকতে হলে, ভালো থাকতে হলে বিজেপির গুন্ডার দের ভোট দেবেন না। দিল্লির পুলিশ নিয়ে এসেছে, গ্রামে গ্রামে ভয় দেখাচ্ছে। বলছে বাড়ি থেকে না বেরোতে। একটা কথা শুনবেন না। নির্বাচনের পর ওরা পগার পার হয়ে যাবে। আমরা বাংলার লোক, আমরা এখানেই থাকবো। উন্নয়ন চলবে।
১১:৩৫: সংখ্যালঘু ভাই-বোনেদের বলবো। হায়দ্রাবাদ থেকে একটা বিজেপির বন্ধু এসেছে। সে ফুরফুরা শরীফের একটা চ্যাংড়াকে নিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সাম্প্রদায়িক স্লোগান দিচ্ছে, মুসলমান ভোট ভাগ করতে চাইছে, ওদের একটা ভোটও দেবেন না। ওদের ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে দেওয়া। হিন্দু ভাই-বোনেদের বলবো, বিজেপির কথা শুনবেন না। সবকটা বহিরাগত গুন্ডা। নন্দীগ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছে।
১১:৩৪: আম্পানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে যারা বঞ্চিত হয়েছে কেউ কেউ, তাদের করে দেব, কথা দিচ্ছি। ঝড়ের সময় লক্ষ লক্ষ মানুষকে তুলে সেল্টারে নিয়ে গেছি। ভাঙা ঘর ঠিক করে দিয়েছি, বিদ্যুতের খুঁটি পুঁতে দিয়েছি, ভাঙা রাস্তা সারিয়ে দিয়েছি, কৃষকদের জমির ক্ষতিপূরণ দিয়েছি।
১১:৩২: ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য আগামীদিন চিন্তা করতে হবে না, তাদের দশ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। তারা নিজেদের পড়াশোনা নিজেরা চালাবে। সব ধর্ম, বর্ণের মানুষ পাবেন। তরুণের স্বপ্ন- ৯ লক্ষ্য ছেলেমেয়েকে স্মার্ট ফোন দেওয়া হবে। ক্ষুদ্র শিল্প ঢেলে করে দেব। নতুন স্কুল, কলেজ, হসপিটাল, মেডিকেল কলেজ করে দেবো।
১১:৩১: কৃষক বন্ধু রা একরপ্রতি ৬ হাজার টাকা থেকে দশ হাজার টাকা পাবেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা ৫ হাজার টাকা করে পাবেন। ৩০% সাবস্টিডি পাবেন। মা-বোনেরা সারাদিন কাজ করেন। নিজের জমানোর পয়সা থাকে না তাদের আমরা মাসে হাত খরচার জন্য ৫০০ টাকা দেব (তপশিলি আদিবাসীদের জন্য হাজার টাকা)। এটা লক্ষ্মীর ভান্ডার।
১১:৩০: আপনারা বিনা পয়সায় রেশন পাচ্ছেন। স্বাস্থ্যসাথী বিনা পয়সায় পাচ্ছেন। যারা কার্ড পাননি, আগামীদিনে করে নেবেন। সরকারি হসপিটালে চিকিৎসা বিনা পয়সায় হয়। আর কোনও রাজ্য পায়? পায়না। আগামীদিন তৃণমূলের সরকার গড়তে পারলে, রেশন দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিয়ে আসবো।
১১:২৯: আমরা উন্নয়নের উপর ভোট চাইছি। একটা দল কি কাজ করে, তারা পাঁচ বছর পর বিচার হয়। আগে সুন্দরবনে কেউ আসতো না। এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা, পর্যটন অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আরো উন্নয়ন চাইলেে, আরও দেব।
১১:২৭: সুন্দরবনের জন্য আমরা দশ বছরে অনেক কাজ করেছি। কয়েকশো কোটি টাকা ব্যয়ে এই এলাকায় আমরা সেতু, রাস্তা তৈরি করেছি। মৃদঙ্গ সেতু তৈরি হয়েছে। দয়ানিয়া, হাতানিয়ার ওপর সেতু হয়েছে। আমাদের সময়ে মোট সতেরোটি সেতু তৈরি হয়েছে। সুন্দরবন এলাকায় ৫ হাজার কিমি রাস্তা তৈরি হয়েছে। আগামীদিনে আমরা একশভাগ ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেবো।
১১:২৬: দেবশ্রী আগে এখানে বিধায়ক ছিলেন, মানুষের ক্ষোভ ছিল। তাই, তাকে টিকিট দিইনি। বিজেপির হয়ে যিনি দাঁড়িয়েছেন, তিনি আমাদের কাছে টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কলকাতায় থাকেন, তাই তাকে টিকিট দিইনি। বিজেপির সবটাই ধার করা। আমরা লোকাল মানুষকে টিকিট দিয়েছি।
১১:২৫: সুন্দরবনের আমার সকল মা বোনেরা, ভাইবোনেরা, আপনারা এই দাবদাহ, তাপদাহ উপেক্ষা করে এসেছেন, আমি আপনাদের প্রণাম, সালাম জানাই।