কমিউনাল ভাইরাস নয় এটা, কেন্দ্রকে কড়া জবাব মুখ্যমন্ত্রীর
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে শহরের কয়েকটি জায়গায় লকডাউন নির্দেশিকা কঠোর ভাবে মানা হচ্ছে না বলে কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ। ওই সব জায়গায় যাতে বাড়তি নজর দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ও রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে অনুরোধ করে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ডেপুটি সেক্রেটারি শ্রীনিবাসু কে-র পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে— বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তাঁদের কাছে খবর এসেছে যে লকডাউন নির্দেশিকা রাজ্যের কয়েকটি এলাকায় লঘু করে দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ প্রসঙ্গে কলকাতার কয়েকটি এলাকার কথাও নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ওই চিঠির প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী খ্যসচিবের কাছে জানতে চান, এমন চিঠি এসেছে কি না। মুখ্যসচিব জানান, কয়েকটা জায়গার কথা বলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার সূত্র ধরে মমতা বলেন, ‘এটা কোনও নির্দেশিকা নয়। কতগুলো এলাকায় তারা বলেছে, বেশি নজর দিতে। দিল্লি কোন এলাকার উপর বেশি নজর দিতে বলে, তা আপনারা ভালো করে জানেন। সেটা আমি বললাম না। যেখানেই কোনও পেশেন্ট পাব, যেখানেই ডেথের খবর পাব, যেখানেই জানতে পারব কোনও প্রব্লেম আছে, সেই এলাকাগুলো ভালো করে স্যানিটাইজ করব, লোকজনকে বোঝাব, লকডাউনটা ভালো করে করব। কিন্তু বাজার খোলা থাকবে।’
পরে তিনি মন্তব্য করেন, ‘এটা কোনও কমিউনাল ভাইরাস নয়, আমরা একটা রোগের বিরুদ্ধে লড়ছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাঠানো চিঠিতে মূলত পূর্ব কলকাতা ও বন্দর এলাকার কয়েকটি জায়গার উল্লেখ রয়েছে। সেখানেই স্থানীয়রা লকডাউন ঠিক ভাবে মানছেন না বলে লেখা হয়েছে চিঠিতে। এ দিন কেন্দ্রের পাঠানো চিঠি টুইট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় আঙুল তুলেছেন রাজ্যের বিরুদ্ধে।
যদিও মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমরা লকডাউনটা স্ট্রং করব। কিন্তু কোনওকিছু বন্ধ থাকবে না, যেগুলো চলছিল। কোনও বাজার বন্ধ থাকবে না। কেউ কেউ বলছেন ভবানীপুর বন্ধ, যদুবাবুর বাজার বন্ধ, টালিগঞ্জ বন্ধ, মুদিয়ালি বন্ধ। এগুলো করবেন না। এখন লকডাউন আইনটা মেনে চলুন।’