দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

উন্নয়নই ভরসা রানাঘাটের মতুয়া প্রার্থীর

April 7, 2021 | 2 min read

ভোটের আগে প্রতিদিনই এলাকায় ডঙ্কা, কাঁসরের আওয়াজ কানে আসছে বাসিন্দাদের। তবে তৃণমূল না বিজেপি, কোন দলের তরফে প্রার্থী প্রচার এসেছেন, তা বুঝে উঠতে একটু সময় লেগে যাচ্ছে রানাঘাট উত্তর-পূর্ব কেন্দ্রের বাসিন্দাদের। কারণ এখানকার তৃণমূল প্রার্থী গত দু’বারের বিধায়ক সমীরকুমার পোদ্দার ও বিজেপির অসীম বিশ্বাস দু‌’জনেই মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের দখলে রাখতে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল-বিজেপি দুই দলই। এই কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার জোট প্রার্থী হয়েছেন আইএসএফের দীনেশ চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের না হলেও, প্রচারে খামতি রাখছেন না।

প্রসঙ্গত, এই কেন্দ্রে মতুয়া ভোটার শাসক-বিরোধী দুই শিবিরের কাছেই বড় ফ্যাক্টর। বিধানসভাজুড়ে প্রায় ৩০ শতাংশ মতুয়া ভোট রয়েছে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৫৫.০৩ শতাংশ ভোট পেয়ে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন সমীরবাবু। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৪২ হাজার ভোটে গেরুয়া শিবিরের কাছে পিছিয়ে পড়ে শাসক দল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, লোকসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোট বিজেপির দিকে গিয়েছিল। তাই এবার দু’পক্ষই সেই ভোটকে পাখির চোখ করে প্রচারে ঝড় তুলছে। এই বিধানসভার অধীনে রয়েছে, রানাঘাট-২ ও হাঁসখালি ব্লকের মোট ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত। 

তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ভোটের জন্য নয়, সারা বছর ধরেই মতুয়াদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি অংশ নিই। আমি নিজেও মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুর হরিচাঁদ, গুরুচাঁদের নামে কলেজ করেছেন। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের ফল পেয়েছেন। তাই তাঁরা তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে আমাদের ভোট দেবেন। বিজেপি মতুয়াদের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রাখতে পারেনি।


বিজেপি প্রার্থী বলেন, আমি নিজে একজন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। মতুয়া পরিবারের সন্তান হিসেবে মতুয়া সমাজের উন্নয়নের স্বার্থে সবসময় সঙ্গে আছি। তাঁরাও আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। এই কেন্দ্রে আমার কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী আছে বলে মনে করছি না। কারণ মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে জেতাবেন। সেই অপেক্ষাতেই আছি। এবার আমরা এক লক্ষের বেশি ভোটে জয়ী হব।


জোট প্রার্থী বলেন, সরাসরি  আমি মতুয়া সম্প্রদায়ের না হলেও ওরা আমার পরিচিত। তাঁরা বলেছেন, মতুয়া প্রতিনিধি হিসেবে আগে এই এলাকায় কাউকে পাননি। তাই তাঁরা আমাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। সাধারণ মানুষের স্বার্থে লড়াইটা করতে হবে। ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক, মহিলা সবাইকে নিয়ে এগতে চাই। আমার একটাই উদ্দেশ্য, যাঁরা সমাজে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন, তাঁদের তুলে আনা। আগামীদিনে তাঁদের জন্য কাজ করা।


এদিকে প্রার্থী ঘোষণার অনেক আগে থেকেই মতুয়া সঙ্ঘের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দলের প্রচারে নেমেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। তিনি ডঙ্কা, কাঁসর বাজিয়েই মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে এখনও পুরোদমে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বিজেপি প্রার্থীও একই কায়দায় প্রচারে নেমেছেন। তবে শেষমেশ মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক কার দখলে থাকবে, তারজন্য অপেক্ষা করতে হবে ২মে ভোট গণনা পর্যন্ত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#development, #candidate, #West Bengal Elections 2021, #ranaghat, #Matua

আরো দেখুন