বিজেপি বন্দুকের রাজনীতি করে অশান্তি তৈরি করছে, বর্ধমানে তোপ মমতার
আজ শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। তিনটি সভা থেকে জেলার পাঁচ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীকে জেতানোর আহ্বান করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফায় পূর্ব বর্ধমানের আটটি আসনে নির্বাচন রয়েছে। তাই এদিন থেকেই জেলায় হাইভোল্টেজ প্রচার শুরু হয়ে যাচ্ছে। এদিন জামালপুরে তৃণমূল প্রার্থী অলোককুমার মাজির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী প্রথম জনসভাটি করবেন। তারপর মেমারিতে জনসভা থেকে প্রার্থী মধুসূদন ভট্টাচার্য ও পাশের কেন্দ্র মন্তেশ্বরের প্রার্থী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর হয়ে ভোটের আবেদন। শেষে জোতরাম হাইস্কুল মাঠে বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী নিশীথ মালিক ও বর্ধমান দক্ষিণের প্রার্থী খোকন দাসের সমর্থনে সভা করবেন।
লাইভ আপডেট
২ঃ৪৬ঃ ছত্রিশগড়ে আমার ২১ জন ভাই মারা গেলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কোন চিন্তা নেই। উনি কলকাতায় এসে বসে আছেন।
২ঃ৪৫ঃ বাংলাকে গুজরাট হতে দেবেন না। বাংলা মা কে বাঁচান। রেল, সেল, লাইফ ইন্সুরেন্স সব বিক্রি করে দিচ্ছে। ব্যাঙ্কে সুদের হার কমিয়ে দিচ্ছে। দেশকে বিক্রি হতে দেব না। ওরা জানে বাংলা জিতলে ওদের বিরুদ্ধে লড়বে। তাই বাংলার অপর আঘাত হানছে।
২ঃ৪৩ঃ বিজেপি গুন্ডামি করবে। ক্যান্ডিডেট, এজেন্টরা সবাই নিজেকে সাবধানে রাখবেন। গুন্ডামিতে ভয় পাবেন না। সবাই ভোট দেবেন। নাহলেই ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেবে। সবাই রাত জেগে পাহারা দেবেন। ইভিএম মেশিন নিয়ে সতর্ক থাকবে।
২ঃ৩৫ঃ নির্বাচনের আগে গ্যাসের দাম ৫০ টাকা লোক দেখিয়ে কমিয়ে পরে ২০০০ টাকা করে দেবে। বিনে পয়সায় আমি চাল দেব সেটা ২০০০ টাকায় ফোটাবেন? বিজেপিকেই ফুটিয়ে দিন।
২ঃ৩৪ঃ বিজেপি গ্যাসের দাম করেছে ৯০০ টাকা। এখন ক্যাশ দিয়ে ভোট কিনতে চাইছে। ওরা এলে বলবেন গ্যাসের দাম ৯০০ টাকা আর ভোট চাইতে আসে।
২ঃ৩৩ঃ তৃণমূল কাজ করেছে। বিজেপি করেনি। বর্ধমানে আগুন লাগিয়েছিল বিজেপি। তা দেখে আমার সাঁইবাড়ির সন্ত্রাসের কথা মনে পড়ে।
২ঃ৩২ঃ ইট ভাটা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। আমি করতে দিই নি। আমরা বিনা পয়সায় হাঁস, মুরগী সব দিচ্ছি। বিজেপি কি দিচ্ছে?
২ঃ৩০ঃ সবুজ বিপ্লব হচ্ছে। ২২ হাজার হেক্টর জমিকে চাষযোগ্য জমি করব। যাতে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজশ্রী, ঐক্যশ্রী সব দিচ্ছি। সামাজিক সুরক্ষা দিচ্ছি দোকানের কর্মচারী, বাড়ির কাজের লোক মোট দেড় কোটি মানুষকে। যখন ষাট বছর বয়স হবে তাদের ২ লক্ষ টাকা করে দিই। মেয়েদের বিয়েতেও তারা ২৫ হাজার কোটি টাকা দিই।
২ঃ২৭ঃ বর্ধমানে ল্যাংচা হাব থেকে শুরু করে অনেক কাজ হচ্ছে। ছেলে মেয়েকে আর বাইরে কাজ খুঁজতে যেতে হবে না। ৭২ কোটি টাকার প্রজেক্ট হচ্ছে। বীরভূমে দেউচা ও পাঁচামিতে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। বিদ্যুতের দাম কমে যাবে। ১০০ বছর বিদ্যুতের অভাব হবে না। ২ লক্ষ ছেলে মেয়ে কাজ পাবে।
২ঃ২৫ঃ কৃষকরা এখন ৬০০০ টাকা করে পাবেন। আমরা জিতলে ১০ হাজার টাকা করে দেব। প্রান্তিক চাষীরা ৫ হাজার টাকা করে পাবেন। ছাত্র ছাত্রীরা এখন ১০০০০ টাকা ট্যাবের এবং স্বাস্থ্যসাথীর সাইকেল পাচ্ছে। আমরা জিতলে আমরা ছেলেমেয়েদের বিদেশে বড় জায়গায় পড়াশোনা করার জন্যে আমি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ১০ লক্ষ টাকা করে ঋণ দেব।
২ঃ২৩ঃ আমরা সরকারে এলে এবার বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে দেব। মা বোনেদের হাতে মাসে মাসে ৫০০- ১০০০ টাকা করে তুলে দেব। এটা আপনাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার।
২ঃ২২ঃ আমি আজীবন রেশন বিনে পয়সায় করে দেব। চাষীদের থেকে ৩১ টাকায় চাল কিনে তা বিনে পয়সায় দিই। বিনে পয়সায় যদি খাদ্য চান, তাহলে তৃণমূল সরকারকে ভোট দিন।
২ঃ২১ঃ স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড আমরা বাড়ির মহিলাদের নামে করে দিয়েছি। যাতে তাঁরা নিজেদের বাবা মা-র চিকিৎসাও করাতে পারেন। বেসরকারি হাসপাতালে ৫ লক্ষ টাকা অবধি চিকিৎসা করাতে পারবেন।
২ঃ২০ঃ ষাট বছর বয়সী তপশিলি, আদিবাসীরা ১০০০ টাকা করে পাবেন। আঠারো বছর বয়সে কেউ যদি বিধবা হন, সরকার তাদের ১০০০ টাকা করে দেবে। কারো কাছে যেতে হবে না, নাম লেখালেই হবে।
২ঃ১৯ঃ আমাদের সরকার তাঁতিদের কাছ থেকেই সব কাপড় কেনে বন্যার সময় বা ত্রান দেওয়ার সময়। এসব করেছি বলেই বাংলায় দারিদ্র কমেছে।
২ঃ১৬ঃ আমরা বাংলাকে নিয়ে গর্ব করি। ‘মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা’। হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুর, পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে ছুটি দিয়েছি। বর্ধমান জেলার সবুজ গর্ব। আমি যেই শাড়ি পরে আছি সেটা বর্ধমান, হুগলির তাঁতিরা বুনে দেন। আমি তাঁতিদের সরকারের থেকে তিন বছরের কনট্র্যাক্ট দিয়েছি।
২ঃ১৪ঃ আমরা মাত্র ৫-৬ বছর সময় পেয়েছি কাজ করার। তার মধ্যে কৃষক বন্ধু প্রকল্প করেছি। স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে আময়রা ৩০ শতাংশ সুদ দিই। স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে আমরা আগামীতে ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেব।
২ঃ১৩ঃ মা বোনেরা পায়ে হেঁটে এতটা পথ এসেছে। আপনাদের পায়ে আমি প্রনাম জানাই। যদি মনে করেন বাংলাকে গুজরাটিরা দখল করে নেবে, তাহলে কিন্তু বাংলা মা বাঁচবে না, শহর বাঁচবে না, বাংলার গ্রাম বাঁচবে না।
২ঃ১২ঃ শক্তিগড়ের কথা মাথায় আসলে মনে আসে ল্যাংচা। বর্ধমানের মিহিদানা, সীতাভোগ আর ল্যাংচা বিখ্যাত। ১৭ই এপ্রিল ভোট হবে এখানে।