চেম্বারে ডাক্তার আসছেন না, সমস্যায় রুগীরা
অসীমকুমার ঘোষ। বয়স ৭৩। অবসরপ্রাপ্ত আমলা। প্রস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন। অস্ত্রোপচারও হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রতি মাসে বাধ্যতামূলক ভাবে চেক আপের জন্য যেতে হয়। কিন্তু গত মাসে যাওয়া হয়নি। চিকিৎসকই আসছেন না চেম্বারে। এ মাসেও যাওয়া হবে কি না অনিশ্চিত।
গড়িয়ার ষাটোর্ধ্ব শর্মিলা সেন থাইরয়েড, রিউম্যাটিক আর্থারাইটিসে ভুগছেন দীর্ঘদিন। প্রতিমাসে দামি ইঞ্জেকশন লাগে। এলাকার একটি পলিক্লিনিকে ডাক্তারকে নিয়মিত দেখান। চেক আপে যেতে হয় প্রতি মাসে। কিন্তু করোনা সতর্কতা নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হওয়ার পর গত মাসে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট মেলেনি। তিনি ক্লিনিকে আসেননি।
গড়িয়াহাটের বছর বাহান্নর মনামি দত্তরায় হার্টের সমস্যায় ভুগছেন। মাসকয়েক আগে ব্লকেজ ধরা পড়েছে। নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ডাক্তার দেখানো জরুরি। কিন্তু যে নার্সিহোমে তিনি দেখান, সেখানে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক আসছেন না। ফলে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন।
করোনা সতর্কতা এবং লকডাউনের জেরে কলকাতা, শহরতলি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এমনই চিত্র। এলাকার ছোট-মাঝারি পলিক্লিনিক ও নার্সিংহোমগুলিতে বেশিরভাগ চিকিৎসক না-আসায় সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা। শুধু নার্সিংহোম বা পলিক্লিনিক নয়, অনেক পাড়াতেই পরিচিত ডাক্তারের চেম্বার বন্ধ। প্রয়োজনে ভিডিয়ো কনফারেন্সে পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা।