স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান

প্লাজমা থেরাপিতে রক্ত দেবেন করোনাজয়ীরা

April 13, 2020 | 2 min read

করোনা রুখতে আশার আলো দেখছেন চিকিৎসকরা। সম্প্রতি COVID-19 এর চিকিৎসার নতুন এক পদ্ধতিকে ঘিরেই জল্পনা। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ইয়ান লিপকিনের দাবি, মারণ এই ভাইরাসের চিকিৎসায় ব্লাড-প্লাজমা থেরাপিই অত্যন্ত সহায়ক এবং রোগকে চিরতরে নির্মূল অবধি করতে সক্ষম। করোনায় আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠার পর তাঁর শরীর থেকে অ্যান্ডিবডি নিয়ে ১০ জন করোনা আক্রান্তের দেহে প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে তা প্রয়োগ করা হয়।

দেখা গিয়েছে যে, ওই ১০ জনের প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি এই নতুন পদ্ধতির কথা তাঁরা জানিয়েছেন। চিকিৎসকদের কথায়, বাজারে যখন অ্যান্টিবায়োটিক আসেনি, তখন এই পদ্ধতিতেই রোগ নিরাময় করা হত। করোনার ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি কাজ করবে বলে তাঁদের আশা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও এই পদ্ধতিতে শিলমোহর দিয়েছেন। করোনা থেকে যাঁরা সেরে উঠেছেন, তাঁদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারানটিন পর্ব মিটলে এবং যদি শরীর সায় দেয় তাহলে এই পদ্ধতির আরোপ করা হবে।

প্লাজমা থেরাপি

৩১ মার্চ বাড়ি ফিরে গিয়েছেন করোনা আক্রান্ত হাবড়ার তরুণী মনামী বিশ্বাস। তিনি জানান,’আমি এই গবেষণা সম্বন্ধে পড়েছি। যদি আমার প্লাজমা থেকে অন্য কারোর জীবন বাঁচে, তাহলে আমি তাতে রাজি। এরকম একটি মহৎ কাজের অংশীদার হতে পারলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করব’। গত মাসে স্কটল্যান্ড থেকে ফিরে এয়ারপোর্টে নেমেই সোজা বেলেঘাটা আইডিতে যান ওই তরুণী। সেখান থেকে ছাড়া পান গত মাসের শেষে।

এখন তিনি চিকিৎসকদের নির্দেশ মতো হোম কোয়ারানটিনে আছেন। চিকিৎসকদের সম্মতি পেলে, এই গবেষণায় সাহায্য করতে চান শহরের প্রথম করোনা আক্রান্ত অক্সফোর্ডের পড়ুয়া। চিকিৎসকদের পরামর্শমতো এখন তিনি বাড়িতেই আছেন। প্রয়োজনে এই রোগ প্রতিরোধে তিনিও সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন। 

কিছুদিন আগেই বাড়ি ফিরেছেন সল্টলেকের বাসিন্দা গোপী কৃষ্ণ আগরওয়াল। তাঁর কোনও বিদেশ যাত্রার রেকর্ড নেই। তিনি কীভাবে আক্রান্ত হলেন নিজেও জানেন না। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও এখনও তাঁর শরীর খুব দুর্বল। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে আগে সুস্থ হতে চান তিনি। এছাড়াও তাঁর ডায়াবিটিস রয়েছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে এবং শরীর সায় দিলে এই গবেষণায় তিনি সাহায্য করতে পারেন বলে জানিয়েছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#plasma therapy, #donate blood, #West Bengal

আরো দেখুন