পথ হারিয়ে অবলুপ্তির দিকে এগোচ্ছে নববর্ষের হালখাতা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নতুন বছর শুরু হত পুন্যাহের মাধ্যমে। আগে চৈত্র সংক্রান্তির দিনে কৃষকরা, জমিদার, ভূস্বামীদের খাজনা মিটিয়ে দিতেন। পরদিন থেকে নতুন হিসেব আরম্ভ হত। বিনিময়ে জমিদাররা প্রজাদের মিষ্টিমুখ করাতেন। সেই প্রথাই ব্যবসায়ীদের মধ্যে হালখাতার জন্ম দিয়েছে। বাংলা বর্ষের প্রথম মাস বৈশাখ। একসময় ছোট-বড় সকল ব্যবসায়ীরা ঘটা করে হালখাতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করত। ঋণী ক্রেতারা এ দিন কিছুটা হলেও ঋণ পরিশোধ করতেন। টাকা আদায় হতেই ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটতো।
আগে হালখাতা উৎসবের কার্ড ছাপা হত। কার্ডে হিন্দু ব্যবসায়ীদের জন্য মাটির সরাতে কলাগাছের পাতা, ডাব এবং উপরে গণেশের ছবি থাকতো। অনুরূপভাবে মুসলিম ব্যবসায়ীদের কার্ডে থাকতো মসজিদের মিনার। এ উভয় রীতির মধ্যেও ছিল হালখাতার আমন্ত্রণ। কিন্তু এখন আর হালখাতার কার্ড সেহারে ছাপা হয় না।
বাংলা বছরের প্রথম দিনে এই উৎসবও সেই জাঁকজমকে একটা পালন হয় না। অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলা নববর্ষের উৎসব।
তবে নিছক ঐতিহ্য হিসেবে কিছু ব্যবসায়ী পয়লা বৈশাখে নতুন হিসাবের পাতা খোলেন। আগে এ সময় তাদের লুচি আর রসগোল্লা ও অন্যান্য মিষ্টি বা নোনতা দিয়ে আপ্যায়ন করা হত। এখন আর সেই দিন নেই। এখন আপ্যায়ন করা হয় কার্ডের বদলে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে।