আজ মমতার ধর্না, নিষেধাজ্ঞা উঠলেই জনসভা
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উপর ২৪ ঘণ্টার প্রচার-নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সোমবার রাতে কমিশনের সচিব রাকেশ কুমারের জারি করা নির্দেশ অনুযায়ী, এদিন রাত ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কোনওভাবেই নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না তিনি।
নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসা মাত্র ঘনিষ্ঠ মহলে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, ‘এভাবে বিজেপি আমার কণ্ঠরোধ করতে পারবে না। আটকানো যাবে না আমাকে। বাংলার কোটি কোটি প্রতিবাদী মানুষই আমার কণ্ঠস্বর। প্রচারপর্বে মেরুকরণের কথা বলা হচ্ছে, বলা হচ্ছে শীতলকুচিতে গুলিচালনার যৌক্তিকতার কথা, আরও শীতলকুচি করার হুমকিও শোনা যাচ্ছে… অথচ এই সব কথা যে বা যাঁরা বলছেন, সেই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কমিশনের তরফে।’
এভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সঙ্গে সঙ্গেই এদিন রাতে একটি ট্যুইট করেছেন মমতা। সেখানে লিখেছেন—‘নির্বাচন কমিশনের এহেন অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কাল দুপুর ১২টায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসছি।’ মমতার উপর প্রচার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তুমুল আলোড়ন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি যশবন্ত সিনহা, ফিরহাদ হাকিম, ডেরেক ও’ব্রায়েন ঘটনার প্রতিবাদে ট্যুইট করেছেন। ‘গণতন্ত্রের কালো দিন’ বলেও অ্যাখ্যায়িত করেছেন অনেকে।
আজ, মঙ্গলবারের নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে মমতার সভা করার কথা ছিল নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ও হরিণঘাটা এবং উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ও বিধাননগরে। কমিশনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, ওই সভাগুলিতে অংশ নিতে পারছেন না তৃণমূল (Trinamool) সুপ্রিমো। নিয়মানুযায়ী, প্রতিদিন রাত ১০টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার করা যায়।
আজ, মঙ্গলবার রাত ৮টায় নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর প্রায় দু’ঘণ্টা প্রচারের জন্য সময় মিলবে। ওই সময়টা কোনওভাবেই নষ্ট করতে চাইছেন না মমতা। রাতেই নির্বাচনী সভা করবেন তিনি। তৃণমূল সূত্রের খবর, রাত ৮টায় আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়া মাত্রই বারাসত এবং বিধাননগরে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভার কর্মসূচি স্থির হয়েছে। পরদিন, বুধবার তিনি সভা করবেন উত্তরবঙ্গের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্রে।