রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

শীতলকুচি থেকে শিক্ষা? গুলির বদলে আটক করার নির্দেশ কমিশনের

April 16, 2021 | 2 min read

কোনওভাবেই শীতলকুচির ঘটনার পুনরাবৃত্তি নয়। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে জটলা কিংবা জমায়েত হলেও গুলি চালানো যাবে না। সিআরপিসির ১৫১ বা ১৮৮ ধারায় আটক করুন। প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার রাজ্যে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এমনই নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এদিন রাজ্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সহ অন্যান্য কর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। সেখানেই শীতলকুচির (Sitalkuchi) ঘটনার প্রসঙ্গ ওঠে। তখনই গুলি না চালানোর কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে প্রচারে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ধর্না নিয়ে আপত্তিকর কিছু দেখছে না কমিশন। তবে শীতলকুচির যে ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে, সেটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।

রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ (Covid 19) ফের ঊর্ধ্বমুখী। তাই শেষ তিন দফার ভোট একদিনে করার জল্পনা চলছিল। এদিনই ট্যুইটারে সেই দাবি তোলেন মমতা। যদিও এদিন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তেমন কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। কারণ, এই কাজ করতে গেলে যত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন, তার আয়োজন করা সম্ভব নয়। বৈঠক শেষে বেরিয়ে বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেও জানান, ‘শীতলকুচিতে যা পরিস্থিতি হয়েছিল, তাতে বুথ দখল হয়ে যেত। এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া অবাধ ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়।’ তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাকি দফাগুলির প্রচারে জনসভার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করতে পারে কমিশন। প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলির জনসভা বাতিলের কথাও ভাবা হচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ, শুক্রবার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সেখানেই বিষয়টি নিয়ে মতামত নেওয়া হবে।

ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেও থাকবে বাড়তি সতর্কতা। ভোট দিয়ে ফেরার পর কেউ অসুস্থ বোধ করলে বা করোনার উপসর্গ দেখা দিলে, তা সঙ্গে সঙ্গে জানাতে অনুরোধ করা হবে। যাতে সংশ্লিষ্ট বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোটকর্মীরা সতর্ক হয়ে যান। এদিকে, রাজ্যের গত চার দফার ভোটে কোন রাজনৈতিক দল কতটা করোনা বিধি পালন করেছে, তার একটি খসড়া রিপোর্ট হাতে পেয়েছে কমিশন। দেখা গিয়েছে, রোড শো হোক বা জনসভা, টিএমসি, বিজেপি বা সংযুক্ত মোর্চার প্রায় কোনও কর্মীই মাস্ক পরছেন না। মাস্ক দেখা যাচ্ছে না বিজেপি নেতাদের মুখেও। জনসভার মাঠে কোথাও থার্মাল স্ক্যানিং হচ্ছে না। আজ সেব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সতর্ক করা হতে পারে। এদিকে, আজই আরও ১১ জন পুলিস পর্যবেক্ষক রাজ্যে আসছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Election Commision of India, #covid-19

আরো দেখুন