রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

করোনা আতঙ্কে জৌলুসহীন বাংলা নববর্ষ

April 16, 2021 | 2 min read

বাংলা নববর্ষ মানেই মন্দিরে মন্দিরে লক্ষ্মী-গণেশ পুজো, দোকানে দোকানে হালখাতা। নতুন জামাকাপড় পরে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, সঙ্গে রেস্তরাঁয় খাওয়া-দাওয়া। এটাই বাঙালির চিরাচরিত নববর্ষ পালনের কায়দা। কিন্তু গত বছর থেকে বাঙালির এই বর্ষবরণে বাধা দিচ্ছে করোনা। গত বছর ঘরে বসেই একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল সাধারণ মানুষ। পরিকল্পনা ছিল, এই বছর পুরোটা পুষিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু সেই পরিকল্পনাতেও বাধ সাধল করোনা। যে গতিতে এখন করোনা (Covid 19) সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে কিছুটা জৌলুসহীন হয়ে পড়ল ১৪২৮ বর্ষবরণের দিনটি।

পয়লা বৈশাখে (Poila Boishakh) ভোর থেকেই উলুবেড়িয়ার আনন্দময়ী কালীবাড়িতে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি কামনায় লক্ষ্ণী-গণেশ পুজোর পাশাপাশি পারিবারের মঙ্গল কামনায় মা আনন্দময়ীর কাছে আর্শীবাদ নিতে অনেকেই ভিড় জমান শহরের অন্যতম প্রাচীন এই মন্দিরে। যদিও করোনার প্রকোপে পরপর দুই বছর এই চিত্র অনেকটাই বদলেছে। গত বছর লকডাউনের কারণে ভক্তরা মন্দিরে আসেননি। আর এবারে সীমিত সংখ্যক ভক্ত এলেও করোনা আতঙ্ক তাঁদের তাড়া করে বেরিয়েছে। এবারে মন্দিরে ভক্তদের পুজোর ডালার সঙ্গে নতুন সংযোজন মাস্ক আর স্যানিটাইজার। বৃহস্পতিবার সকালে উলুবেড়িয়া কালীবাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, অন্যান্য বছরের তুলনায় ভিড় অনেকটাই কম। যে সমস্ত ভক্ত মন্দিরে পুজো দিতে এসেছেন, তাঁরাও যতটা সম্ভব করোনা সর্তকতা মেনে লাইন দিয়েছেন। নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে নতুন শাড়ির সঙ্গে মাস্ক-স্যানিটাইজারের সংযোজন কীরকম লাগছে? মহিলারা জানালেন, গত বছর মন্দিরেই আসতে পারেনি। আশা ছিল, এবারে নিশ্চিন্তে মায়ের কাছে পুজো দেব। কিন্তু এবারেও আমাদের আশায় জল ঢাললো করোনা। বছরের প্রথম দিনটিতে মন্দিরে পুজো দেওয়াটাই শুধু হবে। তারপরে বাড়িতেই থাকতে হবে। মন্দির কমিটির সম্পাদক রঘুনাথ ধাড়া ও সহ সম্পাদক শ্রীমন্ত গরানি জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে ভক্তের সংখ্যা অনেকটাই কম।

অপরদিকে, জেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র গড়চুমুকও এবারে একদম ফাঁকা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, অন্যান্য বছরের এই দিনটিতে প্রচুর মানুষের ভিড়ে জমজমাট হয়ে ওঠে এই এলাকা। বিক্রিবাটাও ভালো হয়। কিন্তু করোনা আতঙ্কে এবারে মানুষ এই পথে যায়নি। গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রের অধিকাংশ হোটেল ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর বক্তব্য, গত বছর লকডাউনের কারণে বছরের এই বিশেষ দিনটিতে মানুষ না এলেও, আমাদের আশা ছিল এবার মানুষ আসবে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে তা হল না, আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়লাম। যদি এইভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকে, তাহলে আগামী উৎসবের মরশুমেও মানুষ এই মুখো হবে না বলেই আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bengali new year, #poila boishakh, #covid-19

আরো দেখুন