‘করোনা যোদ্ধা’দের জন্য বিশেষ ‘ঢাল’উপহার লালবাজারের
স্বাস্থ্যকর্মীদের মতোই করোনা যুদ্ধে পুলিশও যোদ্ধার ভূমিকা পালন করে চলেছে। সাধারণ মানুষ লকডাউন মানছে কি না তা দেখার সম্পূর্ণ দায়িত্ব পুলিশের ওপরই পড়েছে। তারা কোথাও বাজারের ভিড় সামলাচ্ছে, কোথাও দোকানের সামনে যাতে ক্রেতাদের জটলা না হয় সেজন্য তৈরী করে দিচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। আবার কোথাও গাড়ি থামিয়ে দেখতে হচ্ছে কেউ অকারণ ঘুরছে কিনা।
এই অবস্থায় কোনও কিছু বিচার না করেই মানুষের একদম কাছাকাছি যেতে হচ্ছে তাঁদের। তাই পুলিশের বাড়তি সুরক্ষার জন্যই বিশেষ ঢাল তৈরী করল লালবাজার। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফেস শিল্ড’।
কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল নীলকান্ত সুধীরকুমার এই ফেস শিল্ড তৈরীর ভাবনা প্রথম মাথায় আনেন। তারপর দায়িত্ব দেওয়া হয় বড়বাজার থানার ওসি সলিল রায়কে। সলিলবাবু ওই এলাকার একজন স্বেচ্ছাসেবী মানুষের সাহায্য নিয়ে তৈরী করেন এই বিশেষ ঢাল। ডিসি সেন্ট্রাল বলেন, “আপাতত ১০০ জন পুলিশ কর্মীকে এই ফেস শিল্ড দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আরও পুলিশকর্মীদের এই মাস্ক দেওয়া হবে।”
কলকাতা পুলিশের এক অধিকর্তা জানিয়েছেন, মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় কিংবা গাড়ি পরীক্ষা করার সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে একদম কাছে চলে যেতে হয় পুলিশকর্মীদের। সেক্ষেত্রে কথা বলার সময় সামনের ব্যক্তির মুখ থেকে থুতুর ছিটে লাগতে পারে পুলিশকর্মীর মুখে কিংবা কোন রোগ-জীবাণু বেরিয়ে আসতে পারে।
চিকিৎসকরা বলছেন, শুধু নাক-মুখ নয়, চোখ দিয়েও শরীরে ভাইরাস ঢুকতে পারে। তাই বিশেষ এই ঢাল মুখে পরা থাকলে তা সবকিছু রুখে দেবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মুখে হাত দেওয়ার একটা স্বাভাবিক প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, এটা পরা থাকলে কোনওভাবেই মুখে হাত দেওয়া সম্ভব হবে না। ফলে সাধারণ মাস্কের থেকে থেকে এই ফেস শিল্ড অনেকটাই বেশী সুরক্ষিত ভূমিকা পালন করবে।
এই লকডাউনে যে সমস্ত পুলিশকর্মীরা রাস্তায় ডিউটি করছেন মূলত তাদের জন্যই তৈরী করা হয়েছে এই ‘ফেস শিল্ড’। যা শুধু নাক-মুখ নয়, পুরো মুখমন্ডল ঢেকে রাখবে। স্বচ্ছ ফাইবার গ্লাস দিয়ে তৈরী এই ফেস শিল্ড।