দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদাসীন প্রধানমন্ত্রী: তৃণমূল
কোভিড পরিস্থিতির এই বাড়বাড়ন্তর জন্য বিজেপি (BJP) সরকারের পরিকল্পনাহীনতাকেই দায়ী করল তৃণমূল (Trinamool)। আজ তৃণমূল ভবনে একটি সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, বাড়তি ভ্যাক্সিন এবং ওষুধ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একাধিকবার চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা সত্ত্বেও, এখনও অবধি তার কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
কোভিড (Covid 19) মোকাবিলার বদলে প্রহসন করেছে বিজেপি। এমনটাই দাবি পূর্ণেন্দু বসুর। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেশে আনা থেকে হাততালি দেওয়া, মোমবাতি জ্বালানো – এইগুলি কোন কর্মসূচী হতে পারে না। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদাসীন প্রধানমন্ত্রী, দাবি তাঁর। নির্বাচন কমিশনকেও আক্রমণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কমিশনকে আমরা এই পরিস্থিতিতে শেষ তিন দফার নির্বাচন একদিনে করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কমিশন মানে নি।’
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যের তরফ থেকে ২০২০ সালের নভেম্বর ম্যাশ পর্যন্ত করোনা মোকাবিলায় মোট চার হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। কিন্তু, কেন্দ্র থেকে এ বাবদ মাত্র ২৮৯ কোটি টাকা এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোতে কেন্দ্রের এই ভূমিকাকে ‘লজ্জার’ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, আজ রাজ্যের মুখ্যসচিব সাংবাদিক বৈঠক করে সরকারের করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত পরিকল্পনা সকলের সামনে তুলে ধরবেন। এছাড়াও সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে বেড বাড়ানোর জন্যে একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, সরকারি হাসপাতালে ২০% এবং বেসরকারি হাসপাতালে ২৫% বেড বাড়ানো হবে। এই মূহুর্তে রাজ্যে ৭০০০- এরও বেশি বেড রয়েছে।
তিনি আরও জানান, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় আর কোন সভা করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২৬ তারিখে কলকাতায় একটি মাত্র প্রতীকি সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্যদিকে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্যে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছেন। রাজ্যের কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে অনেকাংশেই দায়ী তাঁদের করা সভাগুলি। কারণ তাঁরা বাইরের রাজ্য থেকে লোক আনছেন। যারা অনেকেই কোভিড আক্রান্ত।’