বয়স ৪৫ এর কম, টিকা নিয়ে বিতর্কে ফড়নবিশের ভাইপো
অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ রেমডিসিভির নিয়ে গতকালই বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis)। মঙ্গলবার ফের বিতর্কে জড়িয়ে গেল রাজ্যের বিরোধী দলেনতার নাম। সৌজন্যে, ভাইপো তন্ময়ের (Tanmay Fadnavis) করোনা টিকাকরণ (Corona Vaccine)। অভিযোগ, নিয়ম লঙ্ঘন করে পারিবারিক প্রভাব খাটিয়ে ভ্যাকসিন নিয়েছেন তন্ময়। তাঁর ভ্যাকসিন নেওয়ার ছবি ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিপাকে পড়ে ভাইপোর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন দেবেন্দ্র।
সোমবারই সাবালকদের টিকার ছাড়পত্র দিয়েছে মোদি সরকার। আগামী ১ মে থেকে শুরু হবে টিকাকরণ। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফড়নবিশের ভাইপো ইনস্টাগ্রামে নিজের ভ্যাকসিন নেওয়ার ছবি পোস্ট করেন। সেখানে ২৩ বছর বয়সি তন্ময় লেখেন, কোভিড ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ পেয়ে আমি গর্বিত। তিনি মুম্বইয়ে প্রথম ডোজটি নেন। পরের ডোজটি নেন নাগপুরের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে। দ্বিতীয় ডোজের সেই ছবিই পোস্ট করেন তন্ময়। সঙ্গে সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে কাকা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশের নাম। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে তীব্র বাগযুদ্ধ। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ৪৫ বছর বয়স না হয়েও কীভাবে করোনার টিকা পেলেন তন্ময়? এজন্য বিভিন্ন নেতা-নেত্রী ফড়নবিশকে দায়ী করেছেন। তাঁদের দাবি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে টিকা নিয়েছেন তন্ময়।
বিতর্কে জড়িয়ে পড়তেই পোস্টটি মুছে দেন তন্ময়। কিন্তু, ততক্ষণে বহু ব্যক্তি সেই পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে রেখে দিয়েছেন। কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রাক্তন সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান শ্রীবৎস ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘প্রিয় দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, আপনার ভাইপো তন্ময় ফড়নবিশের বয়স কি ৪৫ বছরের বেশি? যদি তা নয়, কীভাবে তিনি ভ্যাকসিন পেলেন? তাহলে রেমডিসিভিরের মতো আপনিও কি ভ্যাকসিন মজুত করছেন এবং পরিবারের সদস্যদের ভ্যাকসিন দিচ্ছেন? জনগণ মারা যাচ্ছে। ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু, ফড়নবিশের পরিবারের নিরাপদ।’
অন্য এক নেটিজেন কাকা-ভাইপোর দিকে প্রশ্ন ছুড়ে লিখেছেন, ‘যখন ভ্যাকসিনের জোগান কম থাকার জন্য যোগ্য ব্যক্তিরা টিকা পাচ্ছেন না, তখন তন্ময় ফড়নবিশ কী করে ভ্যাকসিন পেলেন, তাও আবার দু’বার। দেবেন্দ্র ফড়নবিশের আত্মীয় বলেই কি এই সুবিধা?’ অন্য এক ব্যক্তি বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে লিখেছেন, প্রিয় দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, আমার বাবার ৪৫ বয়স বছরের বেশি। আমরা টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। কিন্তু, ভ্যাকসিন ছিল না। মনে হচ্ছে, আমার বাবার কোটার টিকাটি আপনার ভাইপো পেয়েছেন। বিতর্কের মুখে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ভাইপোর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে বলেছেন, সে ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য হলে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু যদি সেটা না হয়, তবে সেটা অন্যায়। আমার স্ত্রী-কন্যাও টিকা নেয়নি। প্রত্যেকেরই নিয়ম মেনে চলা উচিত।