জাতীয় মঞ্চে ফের সেরা বাংলা, ‘জাতীয় পঞ্চায়েত পুরস্কার ২০২১’ পাচ্ছে একাধিক পঞ্চায়েত
বিধানসভা নির্বাচনের (WB Assembly Polls) মধ্যেই ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েতে ভাল কাজের সুবাদে কেন্দ্রের স্বীকৃতিলাভ বাংলার। সাতটি জেলার ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে ‘জাতীয় পঞ্চায়েত পুরস্কার ২০২১’ দেওয়া হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে ভাল কাজ ছাড়াও মোট চারটি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। ওই সাতটি জেলা হল বীরভূম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, দার্জিলিং ও আলিপুরদুয়ার। তবে কোভিডের (COVID-19) কথা মাথায় রেখে কোনওরকম অনুষ্ঠান ছাড়াই চলতি মাসের ২৪ তারিখ পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে পুরস্কারের অর্থমূল্য ওই পঞ্চায়েতগুলিকে ট্রান্সফার করে পরবর্তীকালে যাবতীয় শংসাপত্র পাঠিয়ে দেবে। কেন্দ্রের ওই মন্ত্রক তা রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিবকে চিঠি লিখে বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছে।
সাফল্য পাওয়া ওই পঞ্চায়েতের তালিকায় রয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি, দাসপুর দুই ব্লকের গৌরা, গড়বেতা তিন ব্লকের আমসোলে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাট এক, কুলপি ব্লকের করনঞ্জলী, পুরুলিয়ার পুঞ্চার লাখরা, দার্জিলিংয়ের ফাঁসিদেওয়ার বিধাননগর ২, আলিপুরদুয়ারের আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের পূর্ব কাঁঠালবাড়ি, মাদারিহাট ব্লকের বীরপাড়া এক, পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ২ ব্লকের সীতাহাটি ও বীরভূম জেলা পরিষদ।
মোট চারটি বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। দীনদয়াল উপাধ্যায় পঞ্চায়েত সশক্তিকরনে পুরস্কারপ্রাপক বীরভূম জেলা পরিষদ-সহ শালবনি, মগরাহাট ১, লাখরা, বিধাননগর ২, গৌরা, পূর্ব কাঁঠালবাড়ি,করনঞ্জলী। এই বিভাগে সামগ্রিক কাজ ছাড়াও থিমেটিক অর্থাৎ কোন বিশেষ ভাবনায় পুরস্কার মেলে। গৌরা ও পূর্ব কাঁঠালবাড়ি ছাড়া বাকি পঞ্চায়েতগুলি সামগ্রিকভাবে পুরস্কার পেয়েছে। গৌরা শৌচাগার প্রকল্প ও পূর্ব কাঁঠালবাড়ি আয় বাড়ানোর কাজে ভাল কাজ করায় এই সাফল্য মিলেছে। পুরুলিয়ার পুঞ্চার লাখরা গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভঅ্যাসিন্ট্যান্ট গৌতম দাস বলেন, “সামগ্রিক কাজের ক্ষেত্রে দেশের সকল পঞ্চায়েতকেই অংশ নিতে হয়। আমরা সামগ্রিকভাবে ভাল কাজের পুরস্কার পেলেও তার মধ্যে পর্যটনের কাজে আলাদাভাবে গুরুত্ব পেয়েছি।”